রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তথ্যপ্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না --তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
কোনটা বাঁচাবো, রাষ্ট্র নাকি ফেসবুক: মোস্তাফা জব্বার
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তথ্যপ্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। একইসঙ্গে পরিস্থিতি বুঝে ফেসবুক ও ইন্টারনেট চালু রাখার বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জান
সোমবার (০৬ আগস্ট) রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। সেখানে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন তিনি।
সরকারের কাছে সবার আগে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্র কিংবা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতম স্বার্থ ত্যাগের মানসিকতা রাখতে হবে।’
মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, ‘আজ যদি আমি দেখি—ফেসবুক আমার রাষ্ট্রকে বিপন্ন করে ফেলেছে, সেক্ষেত্রে আমার রাষ্ট্র বাঁচাবো নাকি ফেসবুক বাঁচাবো? আমাকে অবশ্যই রাষ্ট্র বাঁচাতে হবে ও সেজন্য যা করার তা আমাকে করতেই হবে।’
ভবিষ্যতে অন্য কোনো ইস্যু বা জাতীয় নির্বাচনে ইন্টারনেটের গতি কমানো হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে শনিবার (০৪ আগস্ট) ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যা জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এরপর ওইদিন সন্ধ্যা থেকে ২৪ ঘণ্টা থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিয়েছিল সরকার।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) বিভিন্ন দেশের রেগুলেটর প্রধান, সংস্থা প্রধান, অপারেটর, টেলিকম ও আইসিটি এক্সপার্টসহ প্রায় ১৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন এতে।
আইটিইউ ও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিকম সংস্থার (এপিটি) উদ্যোগে এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির যৌথ আয়োজনে হচ্ছে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের পাঁচ দিনের এই দুটি সম্মেলন। সোমবারের অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার প্রমুখ।
No comments: