জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। নিজেদের ইনিংসের মাত্র ১৯ ওভার পার করেছে শ্রীলঙ্কা কিন্তু এরিমধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। জয়ের জন্য তাদের দরকার আরো ১৯৩ রান। তেমন কোন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান বাকি না থাকায় এই বিশাল রান তোলা তাদের জন্য কেবল কঠিনই নয়, কার্যত অসম্ভবই হয়ে গেছে। তবে ক্রিকেট বলেই সবকিছু সম্ভব!
তবে মাশরাফি, মিরাজ, মোস্তাফিজের পর রুবেলের দারুণ ফর্ম আশা দেখাতেই পারে টাইগারদের।
একটু দেরিতেই রুবেল হোসেনের হাতে বল তুলে দিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। আর এসেই ঝলক দেখালেন। সাজঘরে ফেরালেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে পড়ার আগে লঙ্কান অধিনায়ক করেন ৩৪ বলে ১৬ রান।
ছয় উইকেট হারিয়ে দারুণ বিপর্যয়ে পড়ে লঙ্কান শিবির। পরের ওভারেই ফের উইকেট তুলে নেন মেহেদী মিরাজ। ৭ রানে রুবেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হার্ডহিটার থিসারা পেরেরা।
স্কোর: বাংলাদেশ ২৬১/১০ মুশফিক ১৪৪, মিথুন ৬৩; মালিঙ্গা ২৩/৪, সিলভা ৩৮/২।
শ্রীলঙ্কা: ৬৯/৭ (১৮.১) দিলরুয়ান ১*, লাকমল ০।
সহজ ক্যাচ! তাকিয়ে দেখলেন মাশরাফি-অপু
নিজেদের ইনিংসে বহু নাটকীয়তার পর ২৬১ রানের একটা লড়াকু সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। বোলিংয়ের শুরুটাও বেশ ভালোই হয়েছে। টপ অর্ডার ধ্বসে পড়া লঙ্কান শিবিরকে আরো চাপে ফেলার সহজ সুযোগটা হাতছাড়া করলেন মাশরাফি এবং নাজমুল ইসলাম অপু।
ম্যাচের ১৫তম ওভারে মেহেদী মিরাজের বলে স্লগ করতে গিয়ে বল উপরে তুলে দেন দানুশ সানাকা। তামিমের পরিবর্তে ফিল্ডিং করতে নামা অপু ছেড়ে দিলেন মাশরাফির উদ্দেশ্যে। ঠিক একই কাজ করলেন মাশরা
তবে এক ওভার বাদে আবারও বলে ফেরেন মিলন মিরাজ। এবার সানাকাকে রানআউটের ফাঁদে ফেলেন। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল আলতো করে লেগে ঠেলে দেন ম্যাথিউস। অনস্ট্রাইক থেকে দৌড়ে এগিয়ে যান সানাকা। কিন্তু তার ডাকে সাড়া দেননি ম্যাথিউস। অপরদিকে দ্রুত বল তুলে বোলারের কাছে পাঠিয়ে দেন সাকিব। পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে লঙ্কানদের।
স্কোর: বাংলাদেশ ২৬১/১০ মুশফিক ১৪৪, মিথুন ৬৩; মালিঙ্গা ২৩/৪, সিলভা ৩৮/২।
শ্রীলঙ্কা: ৬২/৫ (১৭.০) ম্যাথিউস ১৬*, পেরেরা ১*।
কুশালকে ফেরালেন মিরাজ, লঙ্কার চার উইকেট পতন
ঊর্ধ্বগতির রানের চাকাটাও ধীরে ধীরে চেপে ধরছে বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট হারানোয় চাপটাও বাড়ছে লঙ্কানদের। নিজের দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের দেখা পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচের দশম ওভারে ১১ রান করা কুশাল পেরেরাকে এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে ফেললেন। এরিসঙ্গে চতুর্থ উইকেটের পতন হলো শ্রীলঙ্কার।
স্কোর: বাংলাদেশ ২৬১/১০ মুশফিক ১৪৪, মিথুন ৬৩; মালিঙ্গা ২৩/৪, সিলভা ৩৮/২।
শ্রীলঙ্কা: ৪৭/৪ (১১.০) ম্যাথিউস ৭*, সানাকা ২।
তিন উইকেট হারিয়ে চাপে শ্রীলঙ্কা
রানটা বেশ দ্রুতই তুলছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারে ১৩ রান খরচ করেন মাশরাফি। পরের ওভারে ৯ রান দিলেও ০ রানে ওপেনার কুশাল মেন্ডিসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোস্তাফিজ। পরের ওভারেই ১৬ বলে ২৭ রান করা উপল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে ফেরান মাশরাফি।
এক ওভার পর আবারও লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন ম্যাশ। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা করেন ০ রান। রিভিও নিয়েও কোন লাভ হয়নি বরং একটি রিভিউ খোয়াতে হয়েছে লঙ্কানদের। রানের চাকা গতিশীল থাকলেও দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
স্কোর: বাংলাদেশ ২৬১/১০ মুশফিক ১৪৪, মিথুন ৬৩; মালিঙ্গা ২৩/৪, সিলভা ৩৮/২।
শ্রীলঙ্কা: ৩৬/৩ (৭.০) কুশাল ৯*, ম্যাথিউস ০*।
মুশফিক ম্যাজিকে লড়াইয়ের পুঁজি পেলো বাংলাদেশ
এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরলেন একেবারে দমকা হওয়ার মতো। যে ঝড়ে বার বার বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। দুবাইয়ের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখালেন। তবে মালিঙ্গাকে এদিন ছাপিয়ে গেলেন মুশফিক। আর সবকিছু ছাপিয়ে গেলেন তামিম ইকবাল।
মুশফিকের সেঞ্চুরিতে লঙ্কার সামনে ২৬২ রানের টার্গেট দাঁড় করালো বাংলাদেশ।
ম্যাচের পঞ্চম বলে কুশাল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন দাস (০)। পরের বলেই দুর্দান্ত ইয়র্কারে সাকিবের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন মালিঙ্গা। বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত দলের জন্য আরো বড় বিপদ হয়ে আসে তামিমের ইনজুরি। দ্বিতীয় ওভারে সুরঙ্গা লাকমের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে বাম হাতের কব্জিতে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন।
এরপর নতুন গল্প লিখতে শুরু করেন মুশফিকুর রহিম এবং মোহম্মদ মিথুন। ১৩৮ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের আশা জাগান। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়ে ৬৮ রানে সাজঘরে ফেরেন মিথুন। এবারও ঘাতক মালিঙ্গা।
মিথুন ফিরে গেলেও একপাশ আগলে লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। কিন্তু তাকে সেভাবে কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি। আপনেসোর বলে সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে মাহমুদুল্লাহ ফেরেন ১ রানে। মালিঙ্গার চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মোসাদ্দেকও করেন মাত্র ১ রান।
বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি মিরাজও। নিজের বলেই অবিশ্বাস্য ক্যাচ তুলে নিয়ে মিরাজকে (১৫) ফেরান লাকমল। অধিনায়ক মাশরাফি ফেরেন ১১ রানে।
এরপর মোস্তাফিজ ফিরে গেলে নাটকীয়ভাবে মাঠে নেমে আসেন তামিম। একহাতে ব্যাট করে কোন রকম ওভারটা পার করলেন। ব্যাস! তারপরেই শুরু মুশফিক ঝড়। একের পর এক বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে কাপিয়ে দিলেন দুবাই। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামলো ২৬১ রানে। ১৪৪ রানের নায়কোচিত ইনিংস খেললেন মুশফিক। তামিম অপরাজিত থাকলেন ২ রানে।
স্কোর: বাংলাদেশ ২৬১/১০ মুশফিক ১৪৪, মিথুন ৬৩; মালিঙ্গা ২৩/৪, সিলভা ৩৮/২
No comments: