Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » তাদের অবহেলায় আমরা ভাঙনের শিকার






ভাঙনের পূর্বাভাস থাকার পরও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় শরিয়তপুরের পদ্মাপাড়ে ইতিহাসের ভয়াবহ নদী ভাঙন চলছে। প্রতিদিন ভিটেমাটি হারা হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। অথচ ভাঙন রোধে আরো নয় মাস আগেই সরকারিভাবে এগারোশো কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছিলো। সবহারা মানুষরা বলছেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে কয়েক হাজার পরিবারকে নিঃস্ব হতে হতো না। প্রাকৃতিকভাবে ভাঙন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ মুহূর্তে তা রোধ করাও সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 বাপ দাদার সাধের বসত ভিটা, হাটবাজার কিংবা রাস্তা, সবই যেন সর্বনাশা পদ্মার পেটে যাওয়ার অপেক্ষায়। নদীপাড়ের মানুষকে নিঃস্ব করতে প্রতিনিয়ত পদ্মার স্রোত ও ঘূর্ণি সর্বগ্রাসী রূপ নিচ্ছে। ফলে পদ্মার নদীগর্ভে সব হারানো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই।

তাদেরই একজন নড়িয়ার গফুর মিয়া। রাক্ষুসে পদ্মার পাড়ে বসে যেন এখনও হারানো ভিটেটুকু খুঁজে ফিরছেন। গফুর মিয়া বলেন, 'ঘরবাড়ি সব গেছে। আর কিছুই নাই। জায়গা জমিনের প্রতি মায়া মমতা আছে দেখে নদীর সামনে বসে থাকি।'

পদ্মার ভাঙ্গন কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা নরিয়া জাজিরা আসলে বোঝা যায়। শুধু ৩ মাসে এই এলাকার ১৬টি বহুতল ভবন এবং কাঁচাপাকা বাড়িঘরসহ ৭০০ একর জমি গিলে খেয়েছে এই বেসামাল পদ্মা নদী।

এছাড়া পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে এই এলাকার কয়েক হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। স্থানীয়রা  বলেন, ' কিভাবে বাঁচবো আমরা বাড়ি নাই ঘর নাই। অসহায় অবস্থা। আমাদের আর কিচ্ছু করার নাই। ৩ তলা হাসপাতাল ভেঙ্গে অর্ধেক হয়ে গেছে। '

অনেকে আবার শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে নদীতীর থেকে যতটুক সম্ভব দূরে সরিয়ে নেয়ার শেষ চেষ্টা করছেন।  পদ্মার এই ভয়ংকর রূপ প্রাকৃতিক হলেও নদীপাড়ের নিঃস্ব মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে উদ্যোগ না নেয়ায় এই বিপর্যয়।



স্থানীয়রা বলেন, 'দক্ষিণাঞ্চল থাকবে না সেই ইঞ্জিনিয়ার বলে গেছে। একটা বেড়িবাঁধ দিলে আমরা একটু ভাল থাকতাম। আমাদের মন্ত্রী এমপি কেউ কিছুই করে নাই। আগে বালুর বস্তা ফেলেনি। আগে ফেলানো থাকলে এত ভাঙত না। যারা রাজনীতি করে যারা নেতা তাদের কোন ভূমিকা নাই।  তাদের পরিকল্পনার অভাবে আমরা শিকার হয়েছি।'

পূর্বাভাস বুঝতে পেরে পদ্মায় ভাঙন যাতে না হয় সেজন্য সরকারিভাবেও নয় মাস আগেই একটি প্রকল্পও পাস হয়েছিলো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, 'জানুয়ারির ২ তারিখ একনেকে একটা প্রকল্প পাস হয়েছে ১১শ' কোটি টাকার। পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ হলে এই ভাঙ্গন বন্ধ হবে'

ভাঙনে সব হারানো অসহায় মানুষগুলোর এখন একটাই চাওয়া, রাষ্ট্র যেন অন্তত তাদের একটু মাথার গোঁজার জায়গা করে দেয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply