Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » বিচারকের প্রশংসা করলেন ফাঁসির আসামি!






প্রাণের মায়া বড় মায়া। সাধু, খুনি সবাই বেঁচে থাকতে চায়। মৃত্যুকে কেউ সহজভাবে মেনে নেয় না। কিন্তু তারও ব্যতিক্রম হয়। কখনো কখনো মানুষ নিজের মৃত্যুর রায় দেওয়া ব্যক্তিরও প্রশংসা করে!

সম্প্রতি তেমনই এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক সিরিয়াল কিলার রায়ের পর কান্নায় বা কষ্টে ভেঙে না পড়ে উল্টো বিচারকদের প্রশংসা করেছেন!

সিএনএন প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচ নারীকে হত্যার অপরাধে দেশটির নৌবাহিনীর সাবেক এক সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির আদালত। রায়ের পর নিজের পক্ষে কিছু না বলে উল্টো বিচারকদের রায়কে যথার্থ অভিহিত করেন অ্যান্ড্রিউ আরদিয়ালিস নামের ৫৪ বছর বয়সী ওই অপরাধী।

আরদিয়ালিস বলেন, ‘আমি অনুধাবন করতে পারি, কীভাবে তাঁরা (বিচারকরা) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ মামলায় আমি নিজে যদি বিচারক হতাম, সম্ভবত আমিও এই রায়ই দিতাম।’

‘আমার কোনো দুঃখ নেই। আমি বুঝতে পেরেছি এবং আমি বিচারকদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই,’ যোগ করেন আরদিয়ালিস।

গত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশকে একের পর এক নারীকে হত্যা করেন আরদিয়ালিস। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক অঙ্গরাজ্য ইলিনয়ের শিকাগো শহরে আরো তিন নারীকে হত্যার অপরাধে বর্তমানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি। ক্যালিফোর্নিয়ার পাঁচ নারীকে হত্যার অপরাধে এখন তাঁর সঙ্গে যুক্ত হলো আরো পাঁচটি মৃত্যুদণ্ডের রায়।

আদালতে আরদিয়ালিস ওই সব খুনের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু হত্যার শিকার নারীদের পরিবারের লোকজন তাঁকে ক্ষমা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

নিহত এক নারীর বাবা চার্লস এরউইন বলেন, ‘আমার ধর্ম বলে, আমার অবশ্যই তাঁকে ক্ষমা করা উচিত। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি, আমার আত্মায় করুণা বর্ষণ করতে। কারণ আমি যে ক্ষমা করতে পারছি না।’

নিজের মেয়ের খুন হওয়ার স্মৃতি বয়ে বেড়ানো অনেক বেদনার উল্লেখ করে এরউইন বলেন, ‘(খুনের পর) আমি আমার মেয়েকে দেখেছি। আমাকে দেখতে হয়েছে যে, সে (খুনি) তাঁর (মেয়ের) কী দশা করেছে। সে দেখা খুব কষ্টের।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply