Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ছেলেকে সেঞ্চুরি উৎসর্গ ইমরুল কায়েস// জিম্বাবুয়ের সামনে দাঁড় করিয়েছেন ২৭২ রানের লক্ষ্য




ছেলেকে সেঞ্চুরি উৎসর্গ কায়েসের ইমরুল কায়েসের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ। এক পাশ আগলে লড়ে গেছেন 'যোদ্ধার' মতো। টস জিতে ব্যাটিং নেমে যেখানে উইকেট বৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের সেখানে দিশা দেখিয়েছে ইমরুলের ব্যাট। শুধু উইকেটেই থাকেননি শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তুলেছেন। জিম্বাবুয়ের সামনে দাঁড় করিয়েছেন ২৭২ রানের লক্ষ্য। শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে মাশরাফির আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটাকে সঠিক প্রমাণ করতে ইমরুলকে খেলতে হয়েছে উনপঞ্চাশ ওভার পর্যন্ত। শুরুতে ৪ রানে লিটন দাসকে ফেরান চাতারা। অভিষেকটা রঙিন করতে পারলেন না ফজলে মাহমুদ। ৪ বল খেলে কোন রান যোগ না করেই ফিরে যান সাজঘরে। মুশফিকও (২০) ছিলেন অনুজ্জ্বল। মোহাম্মদ মিঠুন লড়াইটা ভালোই করছিলেন। কিন্তু তিনিও থেমে যান ৩৭ রানে। মিঠুনের পর মাহমুদুল্লাহ (০) এবং মিরাজকে (১) দ্রুত ফেরান কাইল জার্ভিস। ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশকে দিশা দেখান ইমরুল। তার নিঃসঙ্গতার দুঃখ ঘোচান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এক পাশ আগলে লড়ে গেছেন 'যোদ্ধার' মতো। উইকেট বৃষ্টিতে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রেখেছে তার ব্যাট। দলকে দিশা দেখানো ইমরুল কায়েস তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। এ পথে বল খেলেছেন ১১৯ টি। ৮টি বাউন্ডারির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৩টি ওভার বাউন্ডারি। কিছুদিন আগেই বাবা হয়েছেন ইমরুল। সন্তান তার জন্য সৌভাগ্য নিয়ে এসেছে। আর তাই তো ছেলেকে উৎসর্গ করেছেন গুরুত্বপূর্ণ এ শতক। ব্যাট কোলে নিয়ে দোল খাইয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন তিনি। ইমরুলকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। স্কোর: বাংলাদেশ ২০৩/৬ (৪৩.০) কায়েস ১০৪* সাইফুদ্দিন ২৮*। টেইলরের গ্লাভসটা এত পছন্দ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের! লিটন দাস একটা 'ভুল' করেছিলেন। তিনি জিম্বাবুয়ের উইকেট রক্ষক ব্রেন্ডন টেইলরের গ্লাভসটা খুঁজে পাননি! ব্যাটে রান তুলতে খাবি খাচ্ছিলেন। যেটার প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠে ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে। চাতারার বলে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে হাঁকিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু ফলাফলটা পক্ষে আসেনি। মিসটাইমিং। মিড উইাকেটে ওঁৎ পেতে থাকা চিপাস জুয়াওয়া ডান দিকে একটু দৌঁড়ে এসে তাকে তালুবন্দ্বী করেন ৪ রানে। ব্যাস! এরপর মুশফিক, মাহমুদুল্লাহদের ক্যাচ তুলে নেয়ার দায়িত্ব আর কাউকে নিতে হয়নি। একে একে পিচে এসেছেন আর 'খুঁজে' নিয়েছেন ব্রন্ডন টেইলের গ্লাভস। এ যেন সেই পুরনো বাংলাদেশ। একটা সময় ছিল যখন পেস বোলারদের উইকেট উপহার দিতো টাইগার ব্যাটসম্যানরা। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলটা একটু বাউন্স করলেই তাতে ব্যাটের চুমু লাগিয়ে দিতেন। আর বলটা খুঁজে নিতে প্রতিপক্ষ উইকেট কিপারের তালু। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজও ঠিক তেমনটাই দেখা গেছে। ফজলে রাব্বী, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মেহদী মিরাজ- প্রত্যেকের ক্যাচ লুফে নিয়েছেন উইকেটের পেছনে থাকা ব্রেন্ডন টেইলর। এরমধ্যে শুধু মুশফিক ফিরেছেন মাভুটার স্পিনে। বাকিরা পেস বলে। যার মধ্যে কাউল জার্ভিস একাই তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। মূলত তিনিই বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের আশাকে ধূসর করে দিয়েছেন দ্রুতই মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ আর মিরাজকে ফিরিয়ে। স্কোর: বাংলাদেশ ১৪৫/৬ (৩২.১) কায়েস ৭৬* সাইফুদ্দিন ২*। হঠাৎ ছন্দপতন, বিপর্যয়ে বাংলাদেশ শুরুর ক্ষতটা একেবারেই সারিয়ে তুলেছিলেন ইমরুল কায়েস এবং মোহাম্মদ মিঠুন। দলকে দেখাচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের স্বপ্ন। তবে হিসাবি ইনিংসটাকে বেশিদূর টানতে পারলেন না মিঠুন। ৪০ বলে এক বাউন্ডারি আর তিন ওভার বাইন্ডারির ইনিংস থেমে যায় ৩৭ রানে। উইকেটটা একরকম বিলিয়েই দিয়েছেন মিঠুন। কাইল জার্ভিসের অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে আলতো করে গ্লাভস ছুঁইয়ে পাঠিয়ে দেন ইউকেট রক্ষক টেইলরের হাতে। ওই ওভারেই কোনো রান যোগ না করেই ফিরে যান অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ। তিনিও ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। আম্পায়ার সাইফুদ্দৌলার সিদ্ধান্তকে অবশ্য চলেঞ্জ করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। তবে রিভিউটা নষ্টই হয়েছে। বিপর্যয় সামাল দিতে আসেন মেহেদী মিরাজ। কিন্তু ১ রানে সাজঘরে ফিরে দলকে আরো বিপদে ফেলে গেলেন তিনি। স্কোর: বাংলাদেশ ১৩৯/৬ (২৯.৩) কায়েস ৭৩* সাইফুদ্দিন ০*। শুরু থেকে হিসেবি ব্যাটিং করছিলেন। বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান বেশি বাড়তে দেননি। মোটামুটি সমান্তরালভাবেই চালিয়ে গেছেন। তবে ক্যারিয়ারের ১৬তম অর্ধশতক পূরণের পর হঠাৎই বিস্ফোরক ইমরুল কায়েস। ২৩ তম ওভারে ব্রান্ডন মাভুটার বলে পর পর দুটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন। আর বাংলাদেশ ছুঁয়ে ফেললো শতক। ইমরুলকে বেশ ভালোভাবেই সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন। স্কোর: বাংলাদেশ ১১৮/৩ (২৪) কায়েস ৬৮* মিঠুন ২৪*। ইমরুলের ফিফটি, স্বস্তিতে বাংলাদেশ সময়টা ভালো কাটছে ইমরুল কায়েসের। এশিয়া কাপের মাঝপথে ডাক পেয়ে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ভালোভাবেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও হাসছে তার ব্যাট। একে একে তিন সহযাত্রীকে ঝরে পড়তে দেখেছেন কিন্তু একপাশ আগলে ঠাই দাঁড়িয়ে আছেন ইমরুল কায়েস। দাঁড়িয়ে আছেন বললে ভুল হবে, রানের চাকাটাকেও সচল রেখেছেন বেশ ভালোভাবেই। মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইমরুল। এ পথে ক্যারিয়ারের ১৬তম অর্ধশতক করে ফেলেছেন। এ দুজনের ব্যাটে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে টাইগার শিবিরে। স্কোর: বাংলাদেশ ৯৯/৩ (২২.০) কায়েস ৫৪* মিঠুন ১৯*। দলকে নড়বড়ে রেখেই ফিরলেন মুশফিক হতাশার শুরুর পর ওপেনার ইমরুল কায়েসকে নিয়ে লড়াইটা বেশ ভালোই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু দলকে নড়বড়ে অবস্থায় রেখেই ফিরে গেলেন মুশি। ব্রান্ডন মাভুতার বলটা লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়েই চলে যাচ্ছিলো। সজোরে হাঁকান মুশফিক। গ্লাভস আলতো করে ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেট রক্ষক ব্রেন্ডন টেইলরের হাতে। প্রথমে অবশ্য আউট মানতে চাননি আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা তবে জিম্বাবুয়ের রিভিউতে শেষ রক্ষা হয়নি। ১৫ রানে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় মুশফিককে। এরআগে শুরুতেই লিটন দাসকে (৪) ফেরান চাতারা। আর অভিষিক্ত ফজলে আহমেদ ৪ বল খেলে কোন রান না করেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। এবারও ঘাতক চাতারা। স্কোর: বাংলাদেশ ৬৭/৩ (১৫.৪) কায়েস ৪১* মিঠুন ০*। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ মিরপুরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। শক্তির বিচারে অনেকটাই এগিয়ে মাশরাফি বাহিনী। কিন্তু দলের অন্যতম সেরা দুই কাণ্ডারি সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না বলে সব হিসাব পাল্টে যাচ্ছে। তরুণদের আধিক্য থাকা এই দল থেকেই একাদশ বেছে নিতে হচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। ম্যাচের একাদশ কেমন হবে, এ নিয়েও জল্পনা-কল্পনা। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, রাব্বির একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তামিম না থাকায় এই ম্যাচের ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামতে পারেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। কিছুদিন আগে এশিয়া কাপে নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে ওপেন করিয়ে খুব একটা সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। পরে ফাইনালে মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে উদ্বোধন করানো হয়। তবে, এদিন এমন কোনো চমক নাও থাকতে পারে। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন তো থাকছেনই। বাংলাদেশ একাদশ: বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক),নাজমুল হাসান শান্ত, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাজমুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বি






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply