টাইব্রেকারে তাজিকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন প্যালেস্টাইন
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের রোমাঞ্চকর ফাইনালে প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে দশজনের দল নিয়ে দারুণ লড়াই করেও টাইব্রেকারে হেরে গেছে তাজিকিস্তান। প্যালেস্টাইন গোলরক্ষক হামাদা দুটি শট ঠেকিয়ে দলকে ৪-৩ ব্যবধানের জয় এনে দেন।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার তাজিকিস্তান ৩৬ মিনিটের সময় দশজনের দলে পরিণত হয়। অধিনায়ক ফাতখুললোকে সরাসরি লালকার্ড দেখান বাংলাদেশি রেফারি মিজানুর রহমান।
একজন কমে যাওয়ার পরও তাজিকিস্তান চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে। এতটুকু ছাড় দেয়নি প্রতিপক্ষকে। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৬তম মিনিটে তো প্রায় গোলও পেয়ে গিয়েছিল তারা। এ সময় ডানদিক থেকে গড়ে ওঠা একটি আক্রমণ প্যালেস্টাইনের বক্সে চলে যায়। বাতাসে ভেসে আসা বল পোস্টে লেগে জালে ঢুকে পড়ে। কিন্তু আক্রমণভাগের একজন বলের দিকে প্রতিক্রিয়া দেখানোয় রেফারি অফসাইডের নির্দেশ দেন।
সতীর্থদের সঙ্গে হামাদার উল্লাস
অতিরিক্ত সময়েও সুযোগ নষ্ট হয় তাজিকিস্তানের। বক্সের ভেতর গোলমুখে বল পেয়েও টোকা দিয়ে জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তাজিকিস্তানের দিলশত। ম্যাচের অন্যতম সহজ সুযোগ ছিল এটি।
খেলা শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে নিয়মিত গোলরক্ষক রুস্তমকে উঠিয়ে নেন তাজিকিস্তান কোচ। গোটা ম্যাচে দারুণ সব
যেমন ছিল টাইব্রেকার
*প্রথমে শট নেন তাজিকিস্তানের আব্দুর গাফফারভ। মাথা ঠাণ্ডা রেখে বাঁদিকে শট নিয়ে পরাস্ত করেন প্যালেস্টাইন গোলরক্ষক হামাদাকে।
*প্যালেস্টাইনের জোরিলাও একইভাবে প্রথম শট থেকে গোল করেন, ১-১।
*নাজারভ দ্বিতীয় শটে তাজিকিস্তানকে গোল এনে দেন।
*প্যালেস্টাইনও দ্বিতীয় শট থেকে গোল পায়। এবার শট নেন মাহমুদ, ২-২।
*তৃতীয় শটে তাজিকিস্তান আশুরভের শট থেকে গোল পায়।
*প্যালেস্টাইনকে তৃতীয় গোল এনে দেন বাতাত, ৩-৩।
*তাজিকিস্তানের হয়ে চতুর্থ শট নিতে আসেন কমনরভ। ডানদিকে রেখেছিলেন। প্যালেস্টাইনের হামাদা সেটি ঠেকিয়ে দেন।
*চতুর্থ শটে প্যালেস্টাইনকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক আল-বাহাদারি, ৪-৩।
*তাজিকিস্তানের পঞ্চম শটও ঠেকিয়ে দেন প্যালেস্টাইনের গোলরক্ষক। এবার শট নিতে এসেছিলেন তাবরেজি। এই শট ঠেকিয়েই দলকে চ্যাম্পিয়ন বানান হামাদা।
No comments: