মধ্য আয়ের মহাসড়কে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে এবং তা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। আর এটা করতে গিয়ে বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে ঘাটতি কিছুটা বেড়েছে। এই ঘাটতি আগামীতেও বাড়তে পারে। তবে ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের ঋণের বোঝা যে একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ বা অসহনীয় হয়ে যাবে তা নয়। বললেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফ্যান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, পিপিআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিপোর্ট উপস্থাপনকালে ড. জাহিদ বলেন, ইদানিং বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সাসটেইনিবিলিটি অ্যানালাইসিস করেছে, তাতে দেখা যায় এখনও জিডিপির অনুপাতে অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্ব থেকে নেয়া বাংলাদেশের যে ঋণ, তা খুব একটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাওয়ার আশঙ্কা কম।
“তবে ঝুঁকি আছে যদি রপ্তানি বাজার স্লো ডাউন হয়। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকাতে। এছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেখানে যদি কোনও ধরনের বাধা তৈরি হয়, তবে অগ্রযাত্রা ঝুঁকিতে পড়বে।”
রিপোর্টে বলা হয়, মধ্য আয়ের মহাসড়কে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে এবং দ্রুত বাড়ছে। তবে সেখানে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন আছে। সেইসঙ্গে স্থিতিশীলতার প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন সংস্কারের প্রয়োজন।
এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, সঠিকভাবে মুদ্রার বিনিময় হারের ব্যবস্থাপনা করা, সুদহারকে বাজারভিত্তিক করা, রাজস্ব আদায়ে অগ্রগতি সাধন করা, সরকারি খরচের ক্ষেত্রে রাজস্ব ব্যবহারে চতুরতা আনতে হবে।
এছাড়া কিছু বড় চ্যালেঞ্জ অনেকদিন ধরেই রয়ে গেছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রপ্তানি বহিমুর্খীকরণ, জিডিপির অনুপাতে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগে বৃদ্ধি, বিদ্যুতের উৎপাদন ও ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
আর দীর্ঘ মেয়াদে চ্যালেঞ্জের মধ্যে মানবসম্পদের উন্নয়ন, নগর ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, পরিবেশের সুরক্ষা করা দরকার।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার দ্রুত বাড়ছে। শিল্প, নির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধি এই আকার বৃদ্ধির পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে কিছু চাপ তৈরি হয়েছে।
“বাংলাদেশকে এখন এ চাপগুলো মোকাবেলা করতে হবে। যেমন খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি, চলতি খাতে ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধি ও রাজস্ব খাতে ঘাটতি বেড়ে যাওয়া।”
তিনি বলেন, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ যদিও জিডিপির অনুপাতে স্থবির, তবে কিছু কিছু বাড়ছে। সেটা ভবিষ্যতেও বাড়বে বলে আশা করা যেতে পারে। অবকাঠামো খাতের বড় বড় প্রকল্পে সরকারের খরচ বাড়বে। খেলাপী ঋণের ফলে ব্যাংকিং খাতে মূলধন ঘাটতি বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ঘাটতি এবং রোহিঙ্গা ইস্যুও বাজেটে চাপ তৈরি করতে পারে।
গত বছর রপ্তানি ও রেমিটেন্সে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরও সেটা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা করে বলেন, এগুলো যদি ঘটে তবে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে চাপগুলো আছে তা অদূর ভবিষ্যতে থাকবে না।
Slider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: