Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ইন্দোনেশিয়ায় ইনস্টাগ্রামে শিশু বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪






ছবি শেয়ারিংয়ের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে শিশু বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ চারজনকে আটক করেছে। একটি অ্যাকাউন্ট থেকে গর্ভবতী নারী, আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান ও শিশুদের ছবি পোস্ট করা হয়। একটি পরিবার কল্যাণ সংস্থার অ্যাকাউন্ট দাবি করে সেখানে সম্ভাব্য ক্রেতাদের জন্য একটি টেলিফোন নম্বর দেয়া হয়।

ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছবিগুলোর নিচে সম্ভাব্য ক্রেতাদের জন্য একটি টেলিফোন নম্বর দেয়া হয়েছে, যাতে তারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে।

পুলিশ বলছে, তারা একটি লেনদেন থামাতে সক্ষম হয়েছেন তবে ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে যাওয়া অন্তত একটি শিশুকে খোঁজা হচ্ছে।

সুরাবায়ার প্রধান গোয়েন্দা কর্নেল সুদামিরান বলেন, ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মানুষজন শিশু দত্তক নিতো এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন হতো।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ৩ সেপ্টেম্বর হতে যাওয়া একটি লেনদেন থামাতে সক্ষম হয়েছেন তারা এবং এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারা বলছেন, ‘এলএ’ নামের ২২ বছর বয়সী একজন নারী তার ১১ মাসের বাচ্চাকে বিক্রির চেষ্টা করেন।

ওই ক্রেতা এলএ-কে এক কোটি ৫০ লাখ রুপিয়া, দালালকে ৫০ লাখ রুপিয়া এবং ইনস্টাগ্রাম পেজটির মালিক অ্যাল্টন ফিনান্দিতাকে ২৫ লাখ রুপিয়া পরিশোধ করার কথা ছিল।

সুদামিরান বলেন, অভিযুক্ত এই চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং শিশু সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাদের ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

দেতিক নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টটিকে পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য একটি পরামর্শ দানকারী হিসেবে দাবি করা হয়। তারা বলছে, অ্যাকাউন্টটির ৭০০-র বেশি ফলোয়ার রয়েছে। যেখানে শিশুদের চেহারা ঝাপসা করা ছবি, তাদের বয়স, অবস্থান ও ধর্মসহ বিভিন্ন বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।

এমনকি অপারেটর ও ক্লায়েন্টদের মধ্যে কথোপকথনের স্ক্রিনশটও রয়েছে ওই অ্যাকাউন্টে। একটি কথোপকথনে দেখা গেছে, একজন নারী বলেন তিনি সাত মাসের গর্ভবতী কিন্তু তিনি চান না যে তার পরিবার এটা জেনে যাক।

আরেক পোস্টে একজন গর্ভবতী নারীর ছবি ও তার অবস্থানের বিস্তারিত রয়েছে। ছবির ক্যাপশনে লিখা হয়েছে, এই নারী গর্ভবতী এবং যারা বাচ্চা দত্তক নিতে চায়, তারা যেন নির্ধারিত নম্বরে যোগাযোগ করেন।

তবে কোনও পোস্টেই স্পষ্টভাবে শিশু কেনা বা বেচা কথা উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ার শিশু সুরক্ষা কমিশনের (কেপিএআই) ভাইস-চেয়ারম্যান রিতা প্রাণওয়াতি বলেছেন, দেশটিতে এর আগেও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে। তবে ইনস্টাগ্রামে শিশু পাচারের ঘটনা খুবই বিরল। এটা একটি নতুন পদ্ধতি।

অন্যদিকে এ ঘটনায় ইন্সটাগ্রাম কোনও মন্তব্য করেনি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply