ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেছেন, সৌদি সরকার বিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিখোঁজ হয়ে যাওয়া একটি বিপজ্জনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ১০ দিন আগে তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেট থেকে খাশোগি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানালেন।
ম্যাকরনের আগে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভন ডারমুহল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ইস্তাম্বুল থেকে খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার ফলে অনেক প্রশ্ন ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ফ্রান্স সরকার খাশোগির বিষয়ে নিজের উদ্বেগের কথা সৌদি সরকারকে জানিয়েছে বলেও খবর দেন তিনি। খাশোগির ভাগ্যে কি ঘটেছে তা রিয়াদকেই স্পষ্ট করতে হবে বলে জানান ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
ফ্রান্স সরকার এমন সময় এ প্রতিক্রিয়া জানাল যখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম খাশোগির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘ নীরবতার সমালোচনা করে আসছিল। এ সম্পর্কে উইকিলিক্স লিখেছে, সৌদি আরবের কাছ থেকে আসা পেট্রোডলারের প্রবাহ অব্যাহত রাখতেই আমেরিকা ও ব্রিটেন খাশোগির গুম হওয়ার প্রশ্নে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
সৌদি আরব অবশ্য দাবি করছে, খাশোগি তার কাজ শেষ করে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছেন। কিন্তু ওই ভবনের বাইরে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজে খাশোগিকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা গেলেও তাকে বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। কিন্তু এরপর আর তাকে বের হতে দেখা যায়নি
সৌদি রাজতন্ত্রের ঘোর বিরোধিতাকারী খাশোগি ২০১৭ সাল থেকে আমেরিকায় স্বেচ্ছা-নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান
No comments: