Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় সিলেটের আরো চার উপজেলা







জেলার আরো চার উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। এ নিয়ে জেলার আট উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত হলো। বাকি পাঁচ উপজেলাও শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে।
বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত ৮ উপজেলার মধ্যে ৬টিতে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত হয়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে- দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্চ, বিয়ানীবাজার, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে জকিগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায়। আর সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাভুক্ত ৫ উপজেলার মধ্যে সিলেট সদর ও জৈন্তাপুরে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাটে এখনও বাকি আছে।

বর্তমান মহাজোট সরকারের ২০০৯ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ছিলো ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। এজন্য নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। ইতোমধ্যেই সেইসব উদ্যোগের সুফল পেতে শুরু করেছে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলাবাসী।
সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম জানান, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও বিয়ানী বাজার উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম ইতোমধ্যে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বনাথ, বালগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত হয়েছে চলতি বছরের আগস্টে। উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী বিনয় কুমার দাস জানান, সিলেট সদর উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি জৈন্তাপুর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত হয়েছে। উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে।

গত ১০ বছরে জেলার প্রায় ৯৫ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুতায়ন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। অবশিষ্ট ৫ শতাংশ কাজ খুব শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা তাদের।
সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত ৮টি উপজেলার ২ হাজার ১৪৩ টি গ্রামকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে মোট ৩ হাজার ২৩১ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ২৯৪ কোটি ৪৫ টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন ১ লাখ ৯১ হাজার গ্রাহক। এতে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহক সংখ্যা ৩ লাখ ৩৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎ কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত এলাকা বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ মেগাওয়াটে। যা পূর্বের তুলনায় ১৫৮ ভাগ বেশি। এছাড়া বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমেছে। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সংখ্যা ও ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ।

তিনি বলেন, আগে যেখানে ৭ টি উপকেন্দ্রে ৬৭.৫ এমভিএ ক্ষমতায় বিদ্যুত সরবরাহ করা হতো সেখানে এখন উপকেন্দ্রের সংখ্যা ১৮ টি এবং সক্ষমতা বেড়ে হয়েছে ১৯০ এমভিএ।
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার গণমাধ্যম কর্মী সাদেক আজাদ বলেন, উপজেলার চারখাই এলাকায় সম্প্রতি ৮০ মেগাওয়াটের একটি পাওয়ার গ্রিড স্টেশন নির্মাণ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এটি চালু হওয়ার ফলে এখন উপজেলায় ২৪ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ বিভ্রাট তেমন লক্ষ্য করা যায় না।
সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিদ্যুতের উন্নয়ন দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে। অন্যথায়, দেশ আজ যে উন্নয়নের মহাসড়কে তা সম্ভব হতো না।

শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনা যে নিজের দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন তা জনগণের কাছে আবারো প্রমাণ হয়েছে মন্তব্য করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ একাংশ) এর সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতের যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকার ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বালাগঞ্জ উপজেলা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, এর ফলে এই গ্রামীণ এই জনপদে মানুষের কর্মঘন্টা বেড়েছে, সেচ ও কৃষিকাজ সহজ হয়েছে, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অবদান বাড়ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply