Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » রঙিন মিষ্টি আসলে সুস্বাদু বিষ!





চোখের সামনে রং-বেরঙের সুন্দর, সুস্বাদু মিষ্টি দেখলে অনেকেই চিকিত্সকের বিধিনিষেধ অনায়াসেই ভুলে যান। জানেন কি এই সব বাহারি মিষ্টি আপনার শরীরের মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে! ভাবছেন ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলে মিষ্টিতে আবার বিপদ কিসের? আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলেও বিপদের ঝুঁকি রয়েছে। আর এই বিপদ লুকিয়ে রয়েছে রং-বেরঙের বাহারি মিষ্টিতে মেশানো রঙে।

সম্প্রতি ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, খাদ্য বিশেষজ্ঞ সুদীপ্ত ভট্টাচার্য কলকাতার নামি, অনামি একাধিক মিষ্টির দোকানের শতাধিক রঙিন বাহারি মিষ্টি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখেছেন। দেখা গেছে, এই সব রঙিন বাহারি মিষ্টির বেশিরভাগই পরীক্ষাগারে ‘পাশ’ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এক কথায় শহরের বেশিরভাগ রঙিন বাহারি মিষ্টিই খাদ্য মানের বিচারে ডাঁহা ফেল করেছে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই সব রঙিন বাহারি মিষ্টিগুলো বেশির ভাগই খাবারের অযোগ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মিষ্টিগুলোতে মেশানো সস্তা, ক্ষতিকারক রং শরীরের প্রভুত ক্ষতি করতে পারে। সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের মতো পাঞ্জাব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রূপা বক্সীও এ বিষয়ে একমত। তার মতে, খাবারে মোশানো এই ক্ষতিকারক রং স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। আমাদের যকৃৎ বা লিভার, কিডনি এমনকি স্নায়ুতন্ত্রও মিষ্টিতে মেশানো এই সব রঙের ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে এই রঙের ক্ষতিকর প্রভাব প্রায় দশ গুণ বেশি। পুষ্টিবিদদের মতে, খাবারে বা মিষ্টিতে মেশানো এই রঙের পরিমাণ খুবই সামান্য হওয়ায় এর ক্ষতিকর প্রভাব শুরুতেই ধরা পড়ে না। পরবর্তিকালে হজমের সমস্যা, ত্বকের সমস্যাসহ নানা সমস্যা একে একে বাড়তে থাকে।

মিষ্টিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এর সঙ্গে লাল, কমলা, হলুদ ও সবুজ রং মেশানো হয়ে থাকে। অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের মতে, সব রঙিন মিষ্টিতেই যে সস্তা, ক্ষতিকারক রং মেশানো রয়েছে, তা নয়। তবে কোনটায় সস্তা, ক্ষতিকারক রং মেশানো রয়েছে আর কোনটায় নেই, তা সাধারণ মানুষের পক্ষে দেখে আন্দাজ করা মুসকিল। উত্সবে মিষ্টি মুখে বাধা নেই। তবে বিপদের হাত থেকে বাঁচতে এড়িয়ে চলুন রঙিন বাহারি মিষ্টি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply