জমে উঠছে কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা ২০১৮। বাংলাদেশি বই পাওয়ার সাথে সাথে আগত স্থানীয় ক্রেতাদের সুযোগ মিলছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সাহিত্য ও ঐতিহ্য নিয়ে নানা রকম আলোচনায় অংশ নেয়ার। পাঠকের চাহিদা বাড়লেও কলকাতায় বাংলাদেশের স্থায়ী কোন বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠেনি আজও। সে কারণে বছরের দুটি বই মেলা ছাড়া কলকাতায় বাংলাদেশি বইয়ের সংকট বছরজুড়েই।
ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলা আর অক্টোবরের এই বাংলাদেশ বই মেলা। এই দুটো মেলা ছাড়া কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে চাহিদামত বাংলাদেশি বই পাওয়া কষ্টসাধ্য। বাস্তবতা হলেও সত্যি যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য হওয়া অনেক বিষয়ের বই কিনতেও এই দুটো মেলার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
সাংবাদিক সত্যজিৎ চক্রবর্তী বলেন, 'শুধুমাত্র পাঠক নয়, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বইও কেনা হয় এখান থেকে।'
কলকাতায় বাংলাদেশি বই পাওয়া আর না পাওয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টরা জানান তাদের প্রতিক্রিয়া।
বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান বলেন, 'বাংলা একাডেমির এই মেলার জন্য যেসব বই আনা হয়েছিল, তার ৬০ ভাগই বিক্রি হয়ে গেছে।'
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য ড.পবিত্র সরকার বলেন, 'এই একটা কেন্দ্র হওয়াই উচিত, সেটা রাষ্ট্র থেকে করবে নাকি গবেষকরা করবে সেটা দেখার বিষয়।'
কলকাতা বইমেলার আয়োজক গিল্ড সম্পাদক শিক্ষাবিদ ত্রিদিপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের বই ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রকাশকেরা প্রকাশ করেছেন, আমরাও করেছি।'
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর জাতির জনককে নিয়ে লেখা বইয়ের চাহিদা এবারও উল্লেখ্যযোগ্য দিক।
লেখক ও প্রকাশক রহিম শাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে বই বের করি, সেটাই মানুষ পড়ে।'
গত দোসরা নভেম্বর, কলকাতার মোহরকুঞ্জে বাংলাদেশ বই মেলা শুরু হয়। আর চলবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত।
No comments: