বার্লিন: ফের শিরোনামে শরনার্থী শিবিরে অত্যাচারের ঘটনা৷ এবার আর কোনও অভিযোগ নয়৷ সরাসরি প্রমাণ হাজির৷ তাও একেবারে সরকারি তরফে৷
জার্মানির
বুর্বাখ শহরের একটি শরনার্থী শিবিরে চার বছর আশ্রিতদের উপর অত্যাচারের
অভিযোগ সামনে এসেছিল৷ সেই অভিযোগপত্রটিই সামনে আনা হয়েছে সরকারি তরফে৷ আর
তা সামনে এনেছেন সরকারপক্ষের আইনজীবী ক্রিস্টিয়ান কুহলি৷
জার্মানি সিগেন শহরের একটি সভায় তিনি ১৫৫
পাতার ওই অভিযোগপত্রটি সাধারণ মানুষের সামনে পড়ে শোনান৷ এর ফলে শরনার্থী
শিবিরে অত্যাচারের ভয়াবহ রূপটা আরও একবার সামনে এল বলে মনে করা হচ্ছে৷
ওই অভিযোগপত্র অনুযায়ী, টানা ন’মাস ধরে
শরনার্থী শিবিরে অত্যাচার চলে৷ সেই অত্যাচারে শিবিরের জড়িত প্রায় সকলেই
যুক্ত ছিলেন৷ শিবিরের রক্ষী, পরিচালকরা তো জড়িত ছিলেনই৷ এমনকী
সমাজকর্মীদের দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে৷
একই সঙ্গে কিছু ছবি ও ভিডিও সামনে আনা
হয়েছে৷ সেখানে দেখানো হচ্ছে কীভাবে শরনার্থীদের উপর মারধর করা হচ্ছে৷
কীভাবে শরনার্থীদের মারতে মারতে মেরে ফেলা হচ্ছে৷ পুলিশকর্মীদেরও মারধর
করতে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওয়৷ অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে শরনার্থী শিবিরের
‘প্রবলেম রুম’-এ৷
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এমনভাবে
মারধর করা হত? সরকার পক্ষের আইনজীবী কুহলির বক্তব্য, এই মারধরের কারণ হত
লুকিয়ে ধুমপান করার মতো কোনও ঘটনা৷
জানা গিয়েছে, ওই শরনার্থী শিবির
পরিচালনের দায়িত্বে ছিল ‘ইউরোপিয়ান হোম কেয়ার’ নামে একটি সংস্থা৷ ওই
সংস্থার এক কর্মচারীও শরণার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে যুক্ত ছিলেন বলে
অভিযোগ৷ তাঁরই নির্দেশে শরণার্থীদের ‘প্রবলেম রুম’-এ নিয়ে গিয়ে অত্যাচার
করা হত বলে জানা গিয়েছে৷ আর্ন্সবের্গ শহরের কাউন্সিলর সব জেনেও কিছু
করেননি বলে কুহলির অভিযোগ৷
জানা গিয়েছে, সমস্ত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত
হলে অভিযুক্তদের দায়ী করা হবে শারীরিক নির্যাতন, স্বাধীনতা হরণ, নিগ্রহ ও
চুরির মতো একাধিক অপরাধে৷ শাস্তি হিসাবে তাঁদের বড় অঙ্কের জরিমানা বা
কারাদণ্ডও হতে পারে৷ আগামী বছরের গোড়ায় নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ার আদালতে
শুরু হবে এই মামলার বিচার৷
No comments: