ইউরোপের সীমান্তের কাছে সামরিক কিংবা
মানবিক সংকট তৈরি হলে ব্যবস্থা নিতে হবে তাড়াতাড়ি৷ সেই কারণেই ইউরোপে
গড়ে তোলা হল নতুন প্রতিরক্ষা উদ্যোগ৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল
মাক্রোঁরের প্রচেষ্টাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হল৷ যার পোশাকি নাম ‘ইউরোপিয়ান
ইন্টারভেনশন ইনিশিয়েটিভ’ বা EI2
৷
মাক্রোঁ
প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে এমন উদ্যোগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন৷
অবশেষে জার্মানি-সহ মোট দশটি দেশ এতে অংশ নিতে সম্মত হয়েছে৷ ফরাসি
প্রতিরক্ষামন্ত্রক ট্যুইট করে জানিয়েছে, ইউরোপের জন্য এই ধরনের শক্তিশালী
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা দরকার৷ তা সামলাতে নতুন এই ব্যবস্থা সবসময়
প্রস্তুত থাকবে বলে জানা গিয়েছে৷
একই সঙ্গে ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রক
জানিয়েছে, এতে ন্যাটোর সঙ্গে নতুন কোনও সংঘাত হবে না৷ বরং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও
ন্যাটোর মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে৷
প্রসঙ্গত, ফরাসি প্রেসিডেন্টের উদ্যোগ
নিয়ে ইউরোপের অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন৷ কারণ, তখন ‘পেসকো’ নামে
ইইউ-এর আরেকটি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল৷ গত বছরের ডিসেম্বরে
পেসকো সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়৷ ইইউ-এর ২৫টি দেশ তাতে সই করে৷ সদস্য
দেশগুলোর মধ্যে সামরিক মহড়া ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা
আদানপ্রদানই পেসকো চুক্তির লক্ষ্য৷
তবে মাক্রোঁর আসল স্বপ্ন, একটি ‘ইউরোপীয়
সেনাবাহিনী’ গড়ে তোলা৷ তাঁর কথায়, তাঁদের এমন ইউরোপ দরকার যা,
যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর না করেই নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে৷ সেই কাজে
নতুন এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
এদিকে এই উদ্যোগে জার্মানিকে পাশে চায়
ফ্রান্স৷ অনেক টালবাহানার পর তারা এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে৷ তবে ফ্রান্স
চায় জার্মানির ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠুক এক্ষেত্রে৷
No comments: