গার্মেন্টস এর টুকরো কাপড় জোড়া লাগিয়ে কম্বল তৈরি করে স্বাবলম্বী এখন যমুনার ভাঙ্গন কবলিত সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ছালাভরা, কুনকুনিয়া, ঢেকুরিয়া, মাইজবাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। এ সব এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে সেলাই মেশিন। এখানকার মহিলারা বাড়ির কাজের পাশাপাশি গার্মেন্টস এর টুকরো টুকরো কাপড় সেলাই দিয়ে জোড়া লাগিয়ে তৈরি করছে বাহারি ডিজাইনের কম্বল। এর ফলে কর্মসংস্থান হয়েছে বেকার নারী-পুরুষের। উত্তরাঞ্চলের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই কম্বলের বেশ চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসছেন কম্বল কিনতে।আর ব্যবসা ভালো হওয়ায় খুশি কম্বল ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, 'এখন শীত পড়া শুরু হয়েছে। তাই সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কাজ করি। আমাদের মতো আরো অনেকে কাজ করে। বিভিন্ন পাইকারি বাজারে আমরা এগুলো বিক্রি করি।'
স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের পাশাপাশি সরকারি বেসরকারিভাবে আর্থিক সহায়তার পেলে এই কম্বল শীল্পের আরো প্রসার ঘটানো সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়িরা। এ শিল্পের প্রসারে ব্যবসায়িদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার সহায়তা চান ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলেন, 'এনজিও থেকে আমরা যে ঋণ নিই তার কড়া সুধ দিতে হয়। সরকার আমাদের ঋণসুবিধা দিলে একটু সুবিধা হবে।'
সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ'র পরিচালক টি এম রিজভী বলেন, 'সরকারের কাছে জোর দাবি থাকবে এখানে একটি ব্যাংক স্থাপন করা এবং স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা।'
এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। আর প্রতিদিন প্রায় ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি কম্বল ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে এখানকার বাজারে।
No comments: