Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » খিঁচুনি মানেই মৃগী নয়! চিনে নিন এই বিচিত্র স্নায়ুরোগকে




অনেক সময়, অনেকের শরীরে খিঁচুনি হতে শুরু করে। আমাদের অনেকেরই ধারণা, খিঁচুনি মানেই তা মৃগীরোগের কারণে। কিন্তু জানেন কি, মৃগীরোগ সব খিঁচুনির জন্য দায়ি না-ও হতে পারে। অর্থাত্, কারও হঠাত্ করে খিঁচুনি শুরু হল বা মাঝে মধ্যেই কারও শরীরে খিঁচুনির সমস্যা হয় মানেই যে তিনি মৃগীরোগে আক্রান্ত, তা না-ও হতে পারে। মানসিক চাপের ফলে অনেক সময় খিঁচুনির মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যাকে চিকিত্সা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় সিউডোসিজার। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃগীর খিঁচুনি থেকে সিউডোসিজার-এর খিঁচুনিকে পৃথক করা বেশ কঠিন। তবে কিছু ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ ও রোগীর খিঁচুনিতে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করলে সিউডোসিজার-এর সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। এ বার সিউডোসিজার-এর লক্ষণগুলি চিনে নেওয়া যাক... ১) সিউডোসিজার-এ হাতে, পায়ের খিঁচুনি না হয়ে অনেক সময় পিঠে টান পড়ে মেরুদণ্ড বেঁকে যায় বা নিতম্বের অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি (পেলভিক থ্রাস্টিং) হতে থাকে। এ ছাড়াও রোগীর হাত-পায়েও টান পড়ে, যা দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা একে খিঁচুনি বলে ভুল করেন। ২) সিউডোসিজার-এ রোগী সাধারণত পুরোপুরি জ্ঞান হারান না। চারপাশে কী ঘটছে, সে সম্পর্কে সচেতন বা অবগত থাকেন। হাতে, পায়ে স্পর্শ করলে বা খোঁচা দিলে তা অনুভব করতে পারেন। ৩) সিউডোসিজার-এ খিঁচুনির পরবর্তীতে (মৃগীরোগের মতো) স্মৃতি-ভ্রষ্টতা, মাথাব্যথা, মানসিক বিভ্রমের মতো কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিউডোসিজার ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে প্রায় তিনগুণ বেশী হতে দেখা যায়। সিউডোসিজারের রোগীদের মধ্যে অনেকেরই বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের লক্ষণ দেখা দেয়। কোনও খিঁচুনি সিউডোসিজার-এর জন্য হচ্ছে কিনা তা বোঝার জন্য স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ভিডিওটেলিমেট্রিসহ ইইজি এবং অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা জরুরি। চিকিত্সকের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করতে হতে পারে। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, শৈশবের কোনও ঘটনার থেকে পাওয়া মারাত্মক মানসিক আঘাত, কোনও বিষয়ে দীর্ঘদিনের কোনও ভয়, আতঙ্ক, শৈশবে যৌন-হয়রানির মতো মারাত্মক অভিজ্ঞতা সিউডোসিজার-এর জন্য দায়ি হতে পারে। তাই এর চিকিত্সায় ওষুধ সেবনের পাশাপাশি প্রয়োজন সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিংয়ের।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply