একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাছাইয়ে সারা দেশে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বিভিন্ন দলের ৭৮৬ জন প্রার্থীর। বেশিরভাগ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ঋণ খেলাপির হওয়ার কারণে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে দেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা।
এমন অবস্থায় ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে আটকে দেয়াকে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, 'যারা ঋণখেলাপি হয় তারা কর খেলাপি হতে পারেন। তারা তো কথাবর্তার ক্ষেত্রেও বরখেলাপি হবেন। সেজন্যে ওদের বাদ দেওয়াটাই উচিত। তার থেকে বড় কথা আইন। আইন অমান্য করে তাদের নির্বাচন করতে দিতে কেউ পারে না।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম.এম. আকাশ বলেন, 'নির্বাচন কমিশন যদি মনে করেন, আমি কঠোরভাবে নীতি অনুসরণ করব। যেটা নির্বাচন কমিশন করছে। এটি শুভ লক্ষণ। সুতরাং এই লক্ষণটাকে আমি ইতিবাচক মনে করছি।'
এমন অবস্থায় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত ব্যক্তিদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রার্থী করার জন্য এসবদলের নীতি-নৈতিকতা চর্চার অভাবকে দুষছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম.এম. আকাশ বলেন, 'যেহেতু সে জনপ্রতিনিধি হবে, আর নিজেই যদি আইন না মানে তাহলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার তো যোগ্যতা থাকে না।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, 'আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ২৮৬ প্রায় আর বিএনপির ৬০০ একটি অবাস্তব ব্যাপার। বিএনপি এই ব্যাপারে কোনভাবেই নৈতিক ভূমিকা গ্রহণ করে নি। আমাদের আশা থাকবে, রাজনৈতিক দলগুলো নৈতিকতা যাচাই করে প্রার্থী দিবেন।'
তবে খেলাপী ঋণ রিশিডিউল করে কিংবা অন্য কোনভাবে যদি কেউ ছাড় পেয়ে থাকেন তবে সেটা ঋণ আদায়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা বলেও মনে করেন তারা। সেই সঙ্গে হাইকোর্টে আলাদা বেঞ্চ স্থাপন করে ঋণ খেলাপির মামলা নিষ্পত্তিরও দাবি তাদের।
No comments: