দলের জনপ্রিয় নেতার নাম জানেন না সর্বভারতীয় সভাপতি। তারা ক্ষমতায় এলে দেশের কী হাল হবে ভাবতে পারেন? প্রশ্নকর্তা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চলতি সপ্তাহের শুক্রবারে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। তার আগে জমে উঠেছে সকল রাজনৈতিক দলের প্রচার। সব প্রচার সভা থেকেই শোনা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতি আক্রমণ। আর সেই সঙ্গে রয়েছে ক্ষমতায় আসতে পারলে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
রাজস্থানে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে তা ফের চালু করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, “আমরা ক্ষমতায় এলে ‘কুম্ভকর্ণ’ লিফট যোজনা ফের চালু করা হবে।” কুম্ভ রাম ছিলেন কংগ্রেসের এক কৃষক নেতা। আর কুম্ভকর্ণ হল রামায়ণের চরিত্র।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর এই বেফাঁস মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তাঁকে পালটা আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার রাজস্থানের সুমেরপুরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারসভার হাজির ছিলেন মোদী। সেখানে তিনি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি নিজের দলের নেতাদের নাম জানেন না। কুম্ভ রাম মহাশয়কে কুম্ভকর্ণ বলছেন তিনি।” প্রয়াত কুম্ভ রাম মহাশয় কংগ্রেসের কৃষক নেতা হিসেবে খুব জনপ্রিয় ছিলেন বলে দাবি করেছেন মোদী। এরপরে তিনি সভার শ্রোতাদের বলেন, “এরা ক্ষমতায় এলে কী হবে একবার ভাবুন।”
বিজেপির অন্যান্য নেতারাও রাহুলের এই কুম্ভকর্ণ মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। যা দেখা গিয়েছে সেই সকল নেতাদের ট্যুইটারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিযুষ গোয়েল লিখেছেন, “কুম্ভকর্ণ লিফট যোজনা? কুম্ভকর্ন বছরের ছয় মাস ঘুমিয়ে থাকতেন। কংগ্রেস ৬০ বছর ধরে ঘুমাচ্ছে।”
রামায়ণ অনুসারে কুম্ভকর্ণ ছিল রাবণের ভাই। কংগ্রেস আসলে রাবণের মতাদর্শ মেনে চলছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া। রাহুলকে কটাক্ষ করে তিনি আরও লিখেছেন, “৫০ বছরের শিশু এখনও কিছুই শেখেনি।” সেই সঙ্গে তিনি তুলে ধরেছেন গ্যাঙ্গস অফ ওয়াসেপুর সিনেমা সিরিজের সংলাপ, “তুমসে না হো পায়েগা।”
রাহুল গান্ধীর কুম্ভকর্ণ মন্তব্য নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি লিখেছেন, “কোনও প্রকল্পই আর ৭০ বছর ধরে নিদ্রামগ্ন এই কুম্ভকর্ণকে জাগাতে পারবে না। সকল দেশবাসি একত্রিত হয়ে তাদের তুলে(মুছে) দেবে।” একই সঙ্গে তিনি আরও লিখেছেন, “এই ব্যক্তি মনে করেন যে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। উনি কী ভারতীয় ভোটারদের কুম্ভকর্ন ভেবেছেন?”
No comments: