অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘অবসর মানেই বিদায় না। আজরাইল না আসা পর্যন্ত আমাকে বিদায় করা যাবে না।’ মঙ্গলবার( ৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আবুল মুহিত বলেন, ‘হ্যাঁ আমি অবসরে যাচ্ছি, কিন্তু অবসর মানেই বিদায় না। রেগুলার রুটিন মাফিক কাজ হয়তো থাকবে না। তবে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আজরাইল না আসা পর্যন্ত আমাকে বিদায় করা যাবে না।’
এসময় তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দেয়া ইশতেহারে দারিদ্রদূরীকরণই প্রথম লক্ষ্য থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র্য বিমোচনে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এবারও দারিদ্র্য বিমোচন আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে আপনারা বিষয়টি দেখতে পাবেন।’
আবুল মুহিত বলেন, ২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের পরে বিএসইসি পুনঃগঠন করা হয়। যে কমিশনের কয়েক বছর কেটেছে সংস্কারের মধ্যে। এর মাধ্যমে কমিশন শেয়ারবাজারের ভিত্তি মজবুত করেছে। আর এখন শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কমিশন দক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ রাখছে।' যে কারণে বর্তমান কমিশনের উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। একইসঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, 'দেশের শেয়ারবাজারে দুই বার ধস হয়েছে। যার প্রতিবারই হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। যা এই সরকারের জন্য সুখকর ছিল না। বরং কলঙ্কজনক হচ্ছিল। যা রোধে বিএসইসির কমিশনকে নতুন করে সাজানো হয়। এবং ওই কমিশন ভালোভাবেই সেই পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে। আর শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিএসইসি এর ভূমিকার কারণে সত্যিকার পুঁজিবাজার গড়ে উঠেছে।'
দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়নে অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। তিনি বলেন, 'শেয়ারবাজার এখন স্থিতিশীল এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান অর্থমন্ত্রীর। তার নির্দেশনায় স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হয়েছে।'
২০১৯ সাল শেয়ারবাজারের জন্য উল্লেখযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তাই তিনি শেয়ারবাজারে সবাইকে আস্থা রাখার অনুরোধ করেছেন।
No comments: