নওগাঁয় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ নেতা ইছাহাক আলী হত্যার ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রিয়জনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা। মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বৈঠক শেষে শহরের মাহমুদপুর এলাকার বাসায় ফিরেন আওয়ামী লীগ নেতা ইছাহাক আলী। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে গাড়ি চালক এগিয়ে এলে, তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে ইছাহাক আলীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নিহতের মেয়ে বলেন, 'আমি দৌড়ে এসে দেখি একদিকে আমার বাবা, আরেক দিকে ড্রাইভার পড়ে আছে। আমি বাবার মাথা হাতে তুলে নিলে সে একটু আমার দিকে তাকাল। আর কিছুই বলতে পারেনি।'
আহত গাড়ি চালক দুলাল চন্দ্র রায় বলেন, 'বাম হাত দিয়ে তাকে আমি ধরতে চেষ্টা করেছি। এরমধ্যে দুটা আঘাত আমার লেগে গিয়েছে।'
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। হত্যা রহস্য উদঘাটন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, 'রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, সম্পত্তি সংক্রান্ত, পারিবারিক সব দিক বিবেচনা করে দেখছি। এরইমধ্য দু'জনকে থানায় এনেছি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।'
ইছাহাক আলী গত ৮ বছর ধরে পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
No comments: