পানির অনিশ্চয়তা কাটেনি। তারপরও তিস্তা সেচ প্রকল্প বগুড়া পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজে সাড়ে চারশ' কোটি টাকা ব্যয়ের পর প্রকল্পটি এখন পরিত্যক্ত। এবার ৯শ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত বছরও ২০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। অথচ নতুন এই প্রকল্পে এক লাখ হেক্টরে সেচ দেয়ার কথা বলছেন প্রধান প্রকৌশলী।
দেশের সবচে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ, এখনই পানি শূন্য। উজানে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সমস্ত জল কপাট বন্ধ থাকায় চোয়ানো কিছু পানি আসছে এ পাড়ে। ফেব্রুয়ারিতে প্রবাহ দেড়, দুইশ কিউসেকে নেমে যায়। এই বাস্তবতায় প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে বগুড়া ক্যানেল সম্প্রসারণে ৬ কোটি টাকার যে কাজ শুরু হয়েছিলো, সেটি শেষ না করে পরিত্যক্ত হয়েছে গত জুন মাসে।
পানির অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু সাড়ে চারশ' কোটি টাকা অপচয়ের পর সেই প্রকল্প এখন পরিত্যক্ত।
এবার ৯শ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। বিদ্যমান অবকাঠামোর পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও ব্যারেজের উজানে রিজার্ভার নির্মাণের মাধ্যমে এক লাখ হেক্টরে সেচ পৌঁছে দেয়া লক্ষ্য বলে জানান রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (উত্তরাঞ্চল) প্রধান প্রকৌশলী মীর মোশাররফ হোসেন।
আর বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের সংগঠকেরা।
পানির অভাবে গত শুষ্ক-মৌসুমে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়ার টার্গেট ছিলো। কিন্তু দিয়েছে মাত্র ৮ হাজার হেক্টরে।
No comments: