এখন রিসাইকেলের যুগ। সব জিনিসই কোনো না কোনো অভিনব কায়দায় নতুন করে ব্যবহার করা যায়। পুরনো শাড়ি নতুন করে ব্যবহারের একটি চমৎকার ও ক্রিয়েটিভ উপায় হলো ঘর সাজানোতে এর ব্যবহার। এটি আপনার ঘরে রঙ, বৈচিত্র্য ও আর্টিস্টিক মাত্রা যোগ করতে পারে।
শাড়ি কেবল পরিধেয়ই নয়, বরং নারীদের শখের তালিকাতেও পড়ে। বিভিন্ন শাড়ির মধ্যে কাতান প্রায় সবার বাড়িতেই রয়েছে। এ ধরনের শাড়ির নকশা পাল্টে যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বাড়িতে যদি এমন কোনো পুরনো কাতান শাড়ি থাকে, যা পরিধানযোগ্য নয়। তবে ব্যবহার উপযোগী, তাহলে সেগুলোকে কাজে লাগান ঘরসজ্জার কাজে। জেনে নিন উপায়গুলো—
১. কুশন কভার: কাতান শাড়ি বা ওড়না দিয়ে খুব সুন্দর কুশন কভার বানিয়ে নেয়া সম্ভব। কাতান শাড়ির বাহারি রঙ সোফা বা ডিভানে ব্যবহৃত কুশনগুলোকে বেশ আকর্ষণীয় করে তুলবে। মনে রাখবেন, শাড়ি যত বেশি রঙিন হবে, তত বেশি ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হবে এর মাধ্যমে। কুশনের উপরের অংশে কাতান কাপড় ও পেছনের অংশে সিনথেটিক একরঙা কাপড় লাগাতে হবে। সোফার সিটকভার একরঙা হলে ভারী নকশার কাতান ভালো দেখাবে। অন্যদিকে সোফার সিট কভার যদি নকশায় পূর্ণ থাকে, তাহলে হালকা ও ছোট নকশার কাতান শাড়ি কেটে কুশন বানাতে পারেন।
২. পর্দার সৌন্দর্য বাড়াতে: পর্দা হিসেবে গোটা কাতান শাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। তবে পর্দার পাড় ও পাইপিং হিসেবে কাতান ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা সিল্কের পর্দার নিচের দিকে দুই হাতের মতো অংশ কাতান শাড়ি পাড়সহ কেটে জোড়া লাগিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন চমত্কার পর্দা। সেক্ষেত্রে ঘরের আকার বড় ও দেয়ালের রঙটা হালকা হলে ভালো দেখাবে। তাই পর্দার জন্য সঠিক কাতান শাড়ি নির্বাচন করতে পারা জরুরি।
৩. ওয়ালম্যাট: বাড়ির দেয়ালে সুদৃশ্য ওয়ালম্যাট হতে পারে শখের শাড়ি সংগ্রহের আরেকটি উপায়। ধরুন, ষাটের দশক বা আশির দশকেরই কোনো এক কাতান শাড়ি। তা হতে পারে আপনার মায়েরই। সেটিকে সুন্দর করে ফ্রেমে বাঁধাই করে বসার ঘর বা ডাইনিং রুমের দেয়ালে রাখতে পারেন। শাড়ি সংরক্ষণের জন্য এটি সবচেয়ে সহজ ও ভিন্নধর্মী চিন্তা হতে পারে।
৪. কাঁথা: সাধারণত কাঁথা তৈরি হয় সুতির নরম শাড়ি দিয়ে। কিন্তু অনেক দিন ধরে ব্যবহারের পর কাঁথা নষ্ট হয়ে যায় ও রঙ হারায়। সেক্ষেত্রে কাঁথার এক পাশে নতুন করে সুতি শাড়ি সেলাই করে উপরের পিঠে একটু পুরু ধাঁচের কাতান শাড়ি কেটে সেলাই করে নিন। আবার কয়েকটি পুরনো কাতান শাড়ি চারকোনা সমান মাপে কেটে টুকরোগুলো জোড়া দিয়ে ভিন্ন ধরনের কম্বলের কাভারও তৈরি করতে পারেন।
No comments: