Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » দাস প্রথার আধুনিক সংস্করণ যেন প্রবাসী শ্রমিকদের জীবন






উন্নত জীবন আর আর্থিক স্বচ্ছলতার আশায় প্রতিবছর লাখ লাখ বাংলাদেশি পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে। কারও কারও প্রত্যাশা পূরণ হলেও অনেকের কাছে সেই স্বপ্ন থেকে যায় অধরাই। মানবেতর জীবন আর অমানুষিক পরিশ্রমে কাটে যাদের প্রতিদিনকার জীবন। ভিসার মেয়াদ শেষে অনেকে আবার পালিয়ে বেড়ান প্রবাসে। প্রত্যাশা একটাই, খরচের টাকা উঠিয়ে দেশে প্রিয়জনের মুখে একটু খানি হাসি ফোটানো।


 সুউচ্চ ভবন, পরিচ্ছন্ন রাস্তা, নিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। সব মিলিয়ে একটি উন্নত জীবন ব্যবস্থা। বলছি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কথা। যেখানে আধুনিক জীবন ধারণের সব ব্যবস্থাই বিদ্যমান।

কিন্তু এই প্রশস্ত রাস্তার বাইরেও আছে অলিগলি, ঘিঞ্জি আবাসন। যেখানে বসবাস, এই আধুনিক শহরের কারিগরদের। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমানো শ্রমিক। প্রবাসে কেমন কাটছে তাদের জীবন। কথা হলো বাংলাদেশের বি-বাড়িয়া থেকে আসা হান্নান মিয়ার সাথে। রঙ্গিন স্বপ্ন নিয়ে ১১ মাস আগে যিনি এসেছেন কুয়ালালামপুরে। এখন তার বসবাস ঘরের বাইরে বারান্দার উপরে একটি ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরে। হান্নান মিয়া বলেন, 'বলা হয়েছিল বিমানে এসে মালয়েশিয়া এনে দিয়ে যাবে। ১৫ দিন ইন্দোনেশিয়া রেখে ট্রলারে নিয়ে আসছে। তিন ট্রলারে থাকতে হয়েছে। তিনদিনে একবারও খাবার দেয়নি।  এখন ঘরে বসে আছি।'

এখানে যেন গল্পের শেষ নেই। কেউ কেউ ভিসার মেয়াদ বাড়াতে না পেরে লুকিয়ে আছেন। কেউবা কাজ করছেন বাংলাদেশের থেকেও কম পারিশ্রমিকে। প্রত্যেক প্রবাসীর কথা শেষ হয় একই যায়গায়। খুব বেশি ভাল নেই তারা এখানে। প্রবাসী শ্রমিকরা বলেন, 'বিদেশ মানেই কষ্ট। নিজেই রান্না করতে হয়। ভাল থাকতে গেলে টাকা বেশি লাগবে। টাকার কারণে দেশে যেতে পারি না। কাজ থেকে এসে রাত্রে মোবাইলে কথা বলি।'

জীবনের গল্প আরও করুন যারা কাজ করেন নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে। নূন্যতম আবাসনের সুযোগও পান না অনেকে। দাস প্রথার যেন আধুনিক সংস্করণ। প্রবাসী শ্রমিকরা বলেন, 'না আছে বাথরুম না আছে থাকার পরিবেশ।'

দালালদের খপ্পরে পরে যারা কোন রকমে মালয়েশিয়া এসে পৌছাতে পেরেছেন তাদের এখন খরচের টাকা উঠাতেই নাভিশ্বাস। হাজারও কষ্টের মাঝেও প্রত্যাশা একটাই ভাল থাকুক বাংলাদেশে থাকা স্বজনরা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply