শীত এলেই যেন প্রাণ ফিরে পায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা অতিথি পাখির বিচরণে মুখর হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। যা দেখতে ভিড় করেন পাখি প্রেমীসহ সব বয়সের দর্শনার্থীরা।
তবে সঠিক পরিচর্যা পেলে জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাস পাখিদের অভয়াশ্রম হতে পারে বলে মনে করেন প্রাণিবিদ্যা বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিবারের মতো এবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে এসেছে অতিথি পাখি। কলকাকলিতে ঘুম ভাঙছে শিক্ষার্থীদের। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে এই সময়টায় সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া, নেপাল থেকে নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশে চলে আসে অতিথি পাখিরা। বড় সরালি, ছোট সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁসসহ নানা প্রজাতির পাখির আগমনে মুখর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পাখি দেখতে ক্যাম্পাসে আসছেন অনেক দর্শনার্থী।
শীত থেকে বাঁচতে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা এসব অতিথি পাখিদের বিরক্ত না করতে দর্শনার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগ অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকা বা বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা ঘুরতে আসেন তাদের সবারই উচিত পাখিদের বিরক্ত না করা এবং পাখিদের প্রতি সহনুভতিশীল আচরণ করা।
প্রতি বছর দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১০ প্রজাতির পাখির সমাগম ঘটলেও এবার দেখা মিলছে মাত্র ৫ প্রজাতির পাখির।
No comments: