নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রাইস্টচার্চ শহরের দু'টি মসজিদে আজ (শুক্রবার) জুমার নামাজের সময় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। পুলিশ অন্তত একজন বন্দুকধারীকে আটক করেছে। তবে হামলার ঘটনায় ঠিক কতোজন জড়িত ছিল তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় নয়জন থেকে ২৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ জানিয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠে শনিবার বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট হওয়ার যে কথা ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ দলের প্রায় সব খেলোয়াড় ওই মসজিদে নামাজ পড়তে গেলেও তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। সবাই এখন হোটেলে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
শহরের মধ্যাঞ্চলে হ্যাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউতে আল নুর মসজিদে এ হামলা হয়। পাশের আরেকটি মজজিদেও গুলি চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।পরে আশপাশের স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে জরুরি অবস্থা জারির প্রক্রিয়া চলছে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এ ঘটনাকে তার দেশের ইতিহাসের অন্যতম 'অন্ধকার দিন' বলে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
শহরের মধ্যাঞ্চলে হ্যাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউতে আল নুর মসজিদ (ফাইল ছবি)
ক্রাইস্টচার্চ পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন তবে এখনো পরিস্থিতি উচ্চ মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, একটি মসজিদে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন এবং নিকটবর্তী আরেকটি মসজিদ খালি করে ফেলা হয়েছে। শহরের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেছেন, সেখানকার সব স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পুলিশের বিবৃতিতে ক্রাইস্টচার্চের কেন্দ্রস্থলে বসবাসরত ব্যক্তিদের রাস্তায় বের না হতে এবং যেকোন সন্দেহজনক গতিবিধির খবর পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী রেডিও নিউজিল্যান্ডকে জানিয়েছেন, তিনি গুলির শব্দ শুনেছেন এবং চার ব্যক্তিকে রক্তমাখা অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছেন।
বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, দলের প্রায় সব সদস্য বাসে করে ওই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। তারা মসজিদে প্রবেশ করার মুহূর্তে গুলির শব্দ শুরু হলে তারা আর ভেতরে প্রবেশ করেননি। জালাল ইউনুস বলেন, দলের সব সদস্য নিরাপদে থাকলেও তারা মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। তাদেরকে হোটেলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, “গোটা দল বন্দুকধারীর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা এবং সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।”
No comments: