ডাকসুতে নির্বাচিতদের কাজের মাধ্যমে নেতৃত্ব গড়ে তোলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দেশে যখনই সামরিক সরকার ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা ছাত্রদের ব্যবহার করেছে উল্লেখ করে ডাকসু নির্বাচনে নব-নির্বাচিতদের কাজ করার মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের উদ্দেশে তিনি এ আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেরিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর পর ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ডাকসুর নব-নির্বাচিত নেতৃত্ব ও বিভিন্ন হল সংসদের বিজয়ীরা শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে গণভবনে যান। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে নব-নির্বাচিত কমিটিকে পরিচয় করে দেন ডাকসু ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। সেখানে সৃষ্টি হয় এক ঘরোয়া পরিবেশ। প্রধানমন্ত্রীর সামনে একে একে পরিচিত হন বিভিন্ন হল শাখার নেতৃবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানান নতুন নেতৃত্বকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান ডাকসুর নতুন ভিপি নুরুল হক নুর। ডাকসুর নতুন ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ডাকসুসহ স্কুল কেবিনেটের নির্বাচন দেয়ার যে উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন তা আশা করি তিনি কার্যকর করবেন। গত দশ বছরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোন অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক সরকার সবসময় ছাত্রদের ব্যবহার করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রতিদিন গোলাগুলি ও বোমা ফোটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত দশ বছরে এই অশুভ প্রতিযোগিতা হয়নি। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপাচার্যের বেডরুমে ঢুকে লুটপাট, তার বাসভবনে আগুন এবং উপাচার্যের উপরে আক্রমণ কখনোই গ্রহণযোগ্য না। গণভবন থেকে বেরিয়ে ডাকসু নেতারা আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন।