ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুনের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিক্রমহাটি এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামানের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন: আগুন দিয়ে সরকারি গাড়ি পোড়ানো একটি ফৌজদারী অপরাধ। যারা আগুন দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন: যানজটের জন্য সিরাজগঞ্জের অংশে যদি কারো দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মহাসড়কে যে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে তার কারণ সিরাজগঞ্জের নলকা ব্রিজ জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন: সরু ব্রীজ হবার কারণে দিয়ে একটি করে গাড়ি পারাপার হচ্ছিল। এতে সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এছাড়া সিরাজগঞ্জের দিকে গাড়ি দ্রুত না যাওয়ায় সেতুতে আড়াই ঘন্টা টোল আদায় বন্ধ থাকে। এসব কারণে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন: এটি জেলা পুলের একটি সরকারি গাড়ি। আগুন দেয়ার সময় চালক ছাড়া অন্য কেউ গাড়িতে ছিলেন না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আহাদুজ্জামান প্রমুখ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিক্রমহাটি এলাকায় যানজটের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় টাঙ্গাইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামানের গাড়িটি ঢাকাগামী গাড়ির লেনে ঢুকে গেলে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা তাতে আগুন ধড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যানচলাচল শুরু হয়।
No comments: