জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এরপর অর্থমন্ত্রীকে বাজেট উপস্থাপনের জন্য আহ্বান জানান স্পিকার। বাজেট পেশের আগে বেলা পৌনে ১টা থেকে শুরু হওয়া সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। সাধারণত প্রতি বছরই বাজেট পেশের দিনে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার সংক্ষিপ্ত বৈঠক বসে সেখানে বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বৈঠক শেষ হয় দুপুর আড়াইটায়।
এবার প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। যা আগেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত নতুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে না পারা ও উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকারের চেয়ে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ ও সংশোধিত বাজেটের আকারের চেয়ে ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ বড়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কর বহির্ভূত আয় ধরা হয়েছে ৩৭ লাখ ৭১০ কোটি টাকা। নতুন বছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার চেষ্টার কথা বলা হয়েছে। নতুন বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। এই ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বৈদেশিক সহায়তা বাবদ ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা পাওয়ার প্রত্যাশা করছে সরকার। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সংগ্রহ করা হবে ২৭ হাজার কোটি টাকা।
সংসদ ভবন সূত্রে জানায়, জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের আগে তা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়। সংসদ ভবনের অবস্থিত মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিপরিষদের সভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। এর পরপরই মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
No comments: