বিশেষ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে ১০০ কোটি টাকা
আগামী অর্থ বছরের (২০১৯-২০) বাজেটে বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, ‘সরকার শিল্পখাতে কর্মসৃজনের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ আধুনিকায়ন, শ্রমিকের সুরক্ষা জোরদার করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির অধিক হারে কর্মে প্রবেশ উপযোগি আইন-বিধি, নীতি কৌশল সংস্কারের জন্য তিন বছর মেয়াদে কার্যক্রম শুরু করেছে। আগামী দুই বছরে অবশিষ্ট সংস্কার কাজ সম্পাদন করে ক্রমবর্ধমান জনশক্তির জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের ঘোষণা দেয়া হয় বাজেটে।’ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানো হবে।
‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুবসমাজকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরের জন্য আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করতে সরকার সারাদেশে ১১১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং উপজেলায় পর্যায়ে ৪৯৮টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।’
এর আগে, ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
এটি দেশের ৪৮তম, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট, আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট। যদিও গত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।
এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী। বক্তৃতার শুরুতেই একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন মুস্তফা কামাল।
Tag: others
No comments: