Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » কচুর শাক খেলে কি হয়? কচু শাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা




আজ আমি বলবো কচু শাকের উপকারিতা সম্পর্কে । কচু শাক যার ইংরেজি নাম colocasia, কচু শাক বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সর্বত্র পাওয়া যায়। এই শাক শুধু মাত্র বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে এর পরিচিতি আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে এই শাকের অনেক সুনাম আছে। কচু শাক ভাজি, ভর্তা ও ঘন্ট করে খাওয়া হয়। ইলিশ মাছ, চিংড়ি বা ছোট মাছ দিয়ে কচু শাক ঘন্ট করে খেতে বেশ মজাদার। কচু শাককে সাধারনত কেউ তেমন গুরুত্ব দেয় না কিন্তু কচু শাকের পুষ্টিগুণ অপরিসীম। আজ চলুন জেনে নেয়া যাক কচু শাকের বিস্তারিত।

কচু শাকের পুষ্টিগুন

কচু শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। প্রতি ১০০ গ্রাম কচু শাকে বিদ্যমান রয়েছে শর্করা ৬.৮ গ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ৩.৯ গ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি১ রয়েছে ০.২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ রয়েছে ০.২৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি রয়েছে ১২ মিলিগ্রাম, চর্বি রয়েছে ১.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম রয়েছে ২২৭ মিলিগ্রাম এবং ৫৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি রয়েছে।

কচু শাকের উপকারীতা

১। কচু শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ রয়েছে যা রাতকানা রোগ সহ চোখের ছানি পরা সমস্যা দূর করে।
২। কচু শাকে প্রচুর আয়রণ বিদ্যমান থাকে যা রক্তশূণ্যতা রোগীর জন্য আদর্শ সেই সাথে শরীরের রক্তশূণ্যতা দূর করে।
৩। কচু শাক হজম শক্তি বৃদ্ধি সহ কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে। কচু শাকের ফাইবার হজম ক্রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করতে পরিপূরক।
৪। কচু শাক শরীরের ক্ষত সেরে তুলতে সহায়তা করে। কচু শাকের ভিটামিন সি শরীরে যে কোন ক্ষত দূর করে থাকে।
৫। কচু শাকের সবচেয়ে বড় উপকারীতা হলো এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস রয়েছে। যা শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধে ভূমিকা পালন করে।
৬। কচুশাক খেলে রক্তের কোলেস্টরেল কম থাকে ফলে উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়া কোলন ক্যান্সার ও ব্রেষ্ট ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়।
৭। কচু শাক বলতে গেলে সকল রোগের ভ্যাকসিন। কারন এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পায়।

সাবধানতা

কচু শাকের উপকারিতা মধ্যে অ্যালার্জিক সমস্যা হতে দেখা যায়। আবার অনেকের কচু শাক খেলে মুখ ও গলা চুলকানো হয়ে থাকে তাই কচু শাকের সাথে একটি বাতাবী লেবু খেলে এই সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়া সম্ভব। বাচ্চাদের কচু শাকে অ্যালার্জিক সমস্যা থাকলে কচু শাক খাওয়া থেকে বিরত রাখুন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply