বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধে একমত সরকার-তালেবান

শান্তি আলোচনার রূপরেখা তৈরির বিষয়ে আফগান সরকারের সঙ্গে একমত হয়েছে তালেবান। কাতারের দোহায় দুই দিনের আন্তঃআফগান সম্মেলন শেষে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) যৌথ বিবৃতিতে, বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ। আফগান সম্মেলন শেষে এদিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের বৈঠকের কথা রয়েছে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চলা আফগান যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে সোমবার কাতারের দোহায় তালেবানের সঙ্গে বৈঠকে বসে দেশটির রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ৫০ জনে প্রতিনিধি। জার্মানি ও কাতারের মধ্যস্থতায় আয়োজিত এ সম্মেলনে নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষাসহ বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি এড়াতে আলোচনা হয়। দুই দিনের আন্তঃসম্মেলন শেষে মঙ্গলবার যৌথ বিবৃতিতে, বেসামরিকদের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব ধরনের হামলা বন্ধে একমত হয় দুই পক্ষ। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও জনবহুল এলাকায় হামলা চালাবে না তালেবান। অন্যদিকে, তালেবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রতি দিয়েছে আফগান সরকার। তালেবান বলছে, এ সম্মেলন আফগান সরকারেরর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক না হলেও আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হলে সব ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকবে তারা। দোহায় তালেবান মুখপত্র সুহাইল শাহিন বলেন, এটা কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনায় নয়। অনানুষ্ঠানিক এ আলোচনায় দুই পক্ষই তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেছে। সাধারণ মানুষের প্রাণহানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছি আমরা। তিনি বলেন, এর আগে, মস্কো সম্মেলনে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারেরর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হলেই বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সম্মেলনের ফলাফল নিয়ে ইতিবাচক আফগান সরকারের মনোভাবও। তালেবান প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে বলে আশাবাদী তারা। আফগানিস্তান শান্তি পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান নাদির নাইম বলেন, আমরা মনে করি, সবার আগে, তালেবানকে তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান শান্তিচুক্তির খুব কাছাকাছি চলে আসছে। সঙ্কট সমাধানে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি আমরা। এর বাস্তবায়ন এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। আন্তঃআফগান সম্মেলন শেষে এদিন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তালবানের সপ্তম দফায় বৈঠকের কথা রয়েছে। এতে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধবিরতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে রূপরেখা তৈরি ও খোলামেলা আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম