বিশ্বের আট গুরুত্বপূর্ণ শহরে ‘বঙ্গবন্ধু বর্ষ’ উদযাপন করা হবে

শুধু ৬৮ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ জুড়ে নয়, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আট শহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষ উদযাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে স্মৃতি জড়িয়ে আছে; এমন শহর ছাড়াও বাংলাদেশিরা বসবাস করেন প্রসিদ্ধ সেই সব শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে বছরভর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা উৎসব-আয়োজনের জন্য। কলকাতা, দিল্লি, নিউইয়ার্ক, ওয়াশিংটন, লন্ডন, সিডনি শহরে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ জাতীয় উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য অর্থনীতিবিদ, সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই প্রস্তাবটি আমি করেছিলাম যে বঙ্গবন্ধুর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমন শহরেও যেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করা হয়। আমি কৃতজ্ঞ যে আমার প্রস্তাব তিনি গ্রহণ করেছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘কলকাতা ছাড়াও ভারতের রাজধানী দিল্লিকেও বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও লন্ডন, নিউইয়ার্ক, সিডনি, ওয়াশিংটন, প্যারিস এবং বাংলাদেশের মানুষের বাস যেখানে বেশি এমন বড় শহরেও থাকবে বছর জুড়ে আয়োজন।’ কলকাতার বেকার হোস্টেলে থাকতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখানকার আবক্ষ ভাস্কর্যটি কলকাতার একমাত্র ভাস্কর্য। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কলকাতা শহরের ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনা করতেন জাতির পিতা। কলকাতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কও ঐতিহাসিক। কিভাবে উদযাপন করা হবে গোটা বছর জুড়ে অনুষ্ঠানের- এই প্রশ্নের উত্তরে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, শত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, অনুষ্ঠান, র‌্যালি, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সেমিনার ছাড়াও নানা আয়োজনে সাজানো হবে কলকাতায় বছর জুড়ে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের আয়োজন। চূড়ান্ত অনুষ্ঠান সূচি তৈরি না হলেও খসড়া সূচির তৈরির কাজ চলছে বলে সময় সংবাদকে বলেন এই কূটনীতিক। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইতিমধ্যেই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবেও সমাদৃত। সে কারণেই বিশ্ব বাঙালির নেতার জন্মদিনটি আন্তর্জাতিকভাবেই পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জন্মশত বর্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কলকাতা ও দিল্লিও সমানভাবে রাঙিয়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যশা আয়োজকদের।