ম্যানইউতে ‘বলির পাঠা’ লুকাকু-পগবা-সানচেজ!
অনেক আলোচনা-সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্কের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে ইন্টার মিলানে চলে গেছেন রোমেলু লুকাকু। ক্লাব ছাড়াছাড়ির রশির উপর দাঁড়িয়ে আছেন পগবা। আরেক স্ট্রাইকার অ্যালেক্সিস সানচেজও এক পা দিয়ে রেখেছেন ম্যানইউ’র দরজার বাইরে। ক্লাব ছাড়ার এই মিলের সঙ্গে তিনজনের আরও একটি মিল আছে। কী সেটা? লুকাকু বলছেন, তারা তিনজনই ম্যানইউতে ‘বলির পাঠা’।
এভারটন থেকে যোগ দেয়ার পর দুই মৌসুম কাটিয়ে এই মৌসুমেই অ্যান্থনিও কন্তের ইন্টারে নাম লিখিয়েছেন লুকাকু। এখন সময় নতুন ‘চ্যালেঞ্জ নেয়ার’, সম্প্রতি এমন মন্তব্যের পর পগবার ভবিষ্যতও অস্পষ্ট।
ইএসপিএন এফসি জানাচ্ছে, লুকাকুর পর সানচেজকেও দলে টানতে চায় ইন্টার। এতসব কানাঘুষার মধ্যে লুকাকুর ‘বলির পাঠা’ মন্তব্য ম্যানইউতে পগবা-সানচেজকে নিয়ে বাড়তি অনিশ্চয়তা যোগ হয়েছে।
২০১৮-১৯ মৌসুমটা মোটেই ভালো যায়নি ম্যানইউর। লুকাকু বলছেন, কঠিন মৌসুমে তারা তিনজনই ছিলেন দোষ দেয়ার মূল টার্গেটে।
বেলজিয়াম তারকার কথায়, ‘তাদের (ম্যানইউ) দোষ দেয়ার জন্য কাউকে খুঁজতে হত। যার টার্গেট হই পগবা, আমি ও অ্যালেক্সিস।’
দোষারোপের টার্গেটে পড়ে ম্যানইউতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত দেখেই অন্য পথ ধরেন লুকাকু। ২৬ বছরের এই তারকা বলছেন ম্যানইউতে সুরক্ষার অভাব দেখেই ক্লাব ছেড়েছেন তিনি।
‘স্টাফদের অনেকেই নানা জনের কাছে বলত, সে রোমের দিকে যাক, তাকে আর দরকার নেই ক্লাবে। এটা প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছিল। অপেক্ষায় ছিলাম, কেউ একজন এসে এটা বন্ধ করুক। কিন্তু আমার চাওয়া মতো তেমন কিছুই ঘটেনি। এরপরই সরাসরি বলেছি, আমি আসলে কী করতে চাই। বলা কথাগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল, ক্লাব ও আমার আলাদা পথ খোঁজা উচিত।’
চলতি মৌসুমে যে অ্যান্থনি কন্তের অধীনে খেলবেন, সেই কন্তেকে সম্প্রতি ‘বিশ্বের সেরা ম্যানেজার’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন লুকাকু। এভারটনের সাবেক তারকা এও বলেছেন, গত ছয় বছরে তাকে বেশ কয়েকবারই দলে নিতে চেয়েছিলেন কন্তে।
‘কন্তে আমাকে ২০১৩ সালে জুভেন্টাসে থাকাকালীন সময়েও চেয়েছিলেন। আমাদের মধ্যে সত্যিই ভালো সম্পর্ক রয়েছে, আমাদের এজেন্টও এক। তার খেলার স্টাইল, তার দলের জন্য, আমাকে তার দরকার ছিল।’
Tag: Advertisement games
No comments: