Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » জাবিতে নির্মাণাধীন তিনটি হল স্থানান্তর ও মাস্টারপ্ল্যান সংশোধনের সিদ্ধান্ত




জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে অপরিকল্পনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের দুই দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিদের সাথে টানা পাঁচ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘মাস্টারপ্ল্যান পর্যালোচনা’ এবং ছেলেদের তিনটি হল স্থানান্তরের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অপর একটি দাবি ‘দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি’ গঠনের বিষয়ে আইনি পরামর্শের জন্য তিন কার্যদিবস সময় নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। টানা পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আন্দোলনকারীদের পক্ষে রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজ আলোচনার ভিত্তিতে তিন দফা দাবির বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো পড়ে শোনান। আলোচনা শেষে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তিন দফা দাবির মধ্যে প্রথম দফা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলকে ঘিরে ছেলেদের তিনটি আবাসিক হল নির্মাণের স্থান পুনর্নিধারণ করা হবে। এর মধ্যে একটি হল নির্ধারিত স্থানের ১০০ ফুট পশ্চিমে সরিয়ে নেয়া হবে। অপর দুটি হল সেখান থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নির্মাণ করা হবে। তবে নতুন জায়গা কোথায় হবে তা নির্ধারণের জন্য মাস্টারপ্ল্যান পর্যালোচনা কমিটি, সকল ছাত্র সংগঠন এবং অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।’ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তৃতীয় দফার দাবি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পর্যালোচনার ভিত্তিতে মাস্টাপ্ল্যানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। বর্তমানে মাস্টারপ্ল্যান পর্যালোচনার জন্য যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে তা পুনর্গঠন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘তাছাড়াও প্রকল্পের কাজের গুণগত মান নিরীক্ষা করার জন্য একটি বিশেষায়িত কমিটি গঠন করা হবে। প্রকল্পের কাজের ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয়ের হিসাব কাজের অগ্রগতি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিস থেকে সর্বদলীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে অবহিত করা হবে।’ আর প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা ভাগাভাগি করে দেয়ার অভিযোগের ‘বিচার বিভাগীয় তদন্ত’ বিষয়ে আইনী পরামর্শের জন্য তিন কার্যদিবস পর্যন্ত সময় নেয়া হয়েছে। আলোচনা শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু তিনটি দাবির মধ্যে আমাদের দুটি দাবি প্রশাসন মেনে নিয়েছে তাই আমরা এটিকে সাময়িক বিজয় বলতে পারি। তবে আন্দোলন থেমে যাবে না; দুর্নীতির বিষয়ে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলনের কাঠামোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেয়া হবে।’ বৃহস্পতিবার বিকেল বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে এ আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, প্রো-উপাচার্য(প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন, প্রো-উপাচার্য(শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজ, প্রকল্প পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন এবং নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আহসান হাবিব অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নেয়। আন্দোলনরত শিক্ষকগণের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, রায়হান রাইন, এ.এস.এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক খবির উদ্দিন এবং বাংলা বিভাগের শামীমা সুলতানা ও তারেক রেজা প্রমুখ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply