চবি'তে নিয়মিত তল্লাশি, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনসহ নানা সিদ্ধান্ত
কখনো অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারামারি, আবার কখনও ছাত্র নেতাদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও রয়েছে, নিরাপত্তা সংকট। এছাড়া রাতে থাকেন না বেশিরভাগ হল প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষক। যদিও ছাত্রলীগের দাবি, হলে কোনো নির্যাতন হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত তল্লাশি, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোসহ নানা পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পর উঠে এসেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে টর্চার সেল তৈরিসহ নানা অনিয়মের চিত্র। এমন অভিযোগ আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও। বিশেষ করে হলগুলোতে রয়েছে নিরাপত্তা সংকট।
ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে আছে র্যাগিংয়ের অভিযোগও। সেইসাথে প্রতিনিয়ত ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আতঙ্কতো আছেই। অভিযোগ রয়েছে, বেশিরভাগ হল প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষক ক্যাম্পাসে থাকেননা বলে রাতে যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনায় মেলেনা সমাধান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, হলে কোন ধরনের নির্যাতন হয়না।
এমন পরিস্থিতিতে সব হলের প্রভোষ্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। এতে সিদ্ধান্ত হয় শনিবার থেকে হলগুলোতে চালানো হবে তল্লাশী। একইসাথে র্যাগিং বন্ধসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বসবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। আর রাতে একজন করে প্রভোস্ট থাকবেন ক্যাম্পাসে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন, প্রতিটি হলের প্রভোষ্ট এবং হাউজ টিউটররা মিলে শিক্ষার্থীদের মোটিভেটেট করবেন। এমনটাই পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানান উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর এ বিদ্যাপীঠে মোট হল আছে ১০ টি। এরমধ্যে ছাত্র হল সাতটি ও ছাত্রীদের জন্য তিনটি। যাতে সিট আছে ৪ হাজার ২৫০টি।
No comments: