Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » পাহাড় কাটায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা




অনুমোদনের চেয়ে বেশি পরিমানে পাহাড় কাটার দায়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (চউক) ১০ কোটি টাকার বেশি জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। রাস্তা নির্মানে চউককে পাহাড় কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আজ বুধবার ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে শুনানি শেষে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার ৫৫৩ টাকা জরিমানা নির্ধারণ করেন মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসী বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাহাড় কেটে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, পাহাড়ের উপরিভাগের মাটি এবং ভূমির বাইন্ডি ক্যাপাসিটি নষ্টসহ পরিবেশ-প্রতিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করায় এই জরিমানা করা হয়। ঢাকা ট্রাংক রোড থেকে বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত একটি লিংক রোড করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদনও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত ২৫ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল ইসলাম প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে অনুমোদনের বাইরে পাহাড় কাটার প্রমাণ পান। ঐ দিন তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ঢাকায় শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অধিপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক বলেন, ‘রাস্তা নির্মাণের জন অনুমোদনের বাইরে বেশি পাহাড় কাটার প্রমাণ পাওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় ডাকা হয়েছিল। সেই তলবের ভিত্তিতেই বুধবার শুনানি শেষে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।’ রুবিনা ফেরদৌসী জানান, প্রকল্প প্রস্তাবনায় যত ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন তারা নিয়েছিল বাস্তবে তার থেকে ৬৯ হাজার ২১৯ দশমিক ৭০২ বর্গফুট বেশি কেটেছে। যে এঙ্গেলে কাটার কথা ছিল সেভাবে না কেটে ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে খাড়াভাবে কেটেছে। ফলে যে কোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে মানুষের জীবনহানি ঘটতে পারে। ২০১৭ সাল থেকেই তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছিল। আগেও তাদেরকে সতর্ক করে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়েছিল। তারপরেও তারা থামেনি। এখন প্রকল্প প্রায় শেষের দিকে। জরিমানা প্রদানে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রুবিনা বলেন, ‘সিডিএ এবং বিশেষ করে এর প্রকল্প পরিচালককে জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। তারা এখন কোন খাত থেকে দেবে সেটা তাদের বিষয়।’ অন্যদিকে লিংক রোড প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী রাজীব দাস বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের শর্ত প্রতিপালন করব। তবে শুনানিতে একচেটিয়াভাবে আমাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করব।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply