দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করেন’-- পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রীর একটাই কথা সকল কাজের কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ থাকবে বলে জানিয়েছেন

উচ্চ পর্যায়ের মানুষদের আমরা সম্মান করি কিন্তু কাজ করি দরিদ্র মানুষের জন্য সাধারণ মানুষের জন্য। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সুনামগঞ্জে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। এসময় মন্ত্রী বলেন, যখন কোনো প্রকল্প নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই তিনি জানতে চান এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষের কোনো কল্যাণ হবে কিনা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কারা লাভবান হবে জানতে চান। নারী, বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের লাভ হবে কিনা জানতে চান। যারা খেটে খায় পরিশ্রম করে কৃষক মজুর জেলে তাদের লাভ হবে কিনা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাদের লাভ হলে প্রকল্পের অনুমোদন করবো। এটা হলো শেখ হাসিনার বার্তা। দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেন। এটা বিদেশীরা জরিপ করে দেখেছে। যারা দূরে দূরে থাকেন তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন বাংলাদেশে উন্নয়নের যে যজ্ঞ চলছে এতে আপনারা যোগদান করেন। মন্ত্রী আরও বলেন, হাওরের মধ্যভাগ দিয়ে ভাসমান সেতুর উপর আমরা সারা বছর গাড়ি চালিয়ে যাবো। হাওরের দু পাশে ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবে আমাদের সন্তানরা। আমরা নকশা তৈরি কাজ করছি। ছাতক থেকে রেল আগামী দুই তিন বৎসরের মধ্যে অবশ্যই সুনামগঞ্জে আসবে। আমরা মোহনগঞ্জে রেল নিয়ে যাবো। খাবারদাবার পিঠাপুলি নিয়ে ট্রেনে উঠবেন ঘুরে ঢাকা চলে যাবেন। দেশ গঠনের সময় এখন আমাদের এইদেশ টাকে নতুন রূপে সাজানোর। এজন্য মন মানসিকতার উদারতা প্রয়োজন সংকীর্ণ মন নিয়ে কোন কাজ করা যায় না। অনেক অনেক কাজ আমাদের বাকী রয়েছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে এ সরকার বাস্তবায়ন করবে। সভায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক ঝলক রঞ্জন তালুকদারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ফয়জুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। পরে তিনি সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। দীর্ঘক্ষণ তিনি শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দেশাত্মবোধক গান নৃত্য উপভোগ করেন। এসময় তিনি দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা আহ্বান জানান তিনি। মোরগ লড়াই,চকলেট দৌড়, বস্তা দৌড়, গুপ্তধন উদ্ধার, দাবা, উচ্চ লাফ, দীর্ঘলাফ, ব্যাডমিন্টন ক্রিকেট বল নিক্ষেপ চারপায়ে হাঁটা, যেমন খুশি তেমন সাজো, হাড়িভাঙ্গাসহ বিভিন্ন ইভেন্টে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেছেন।