Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » সংকটে দেশের পোশাক-চামড়া শিল্প, ঝুঁকিতে নিত্যপণ্যের বাজার




বাংলাদেশের উৎপাদন খাতের কাঁচামাল থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্যসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যই আসে চীন থেকে। মোট আমদানির প্রায় ২৬ শতাংশই আসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই রাষ্ট্র থেকে। রপ্তানিও হয় উল্লেযোগ্যহারে। কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এতে বাংলাদেশের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। উদ্যোক্তা এবং অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যেহেতু দেশের রপ্তানিজাত পণ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ কাঁচামাল আসে চীন থেকে। তাই উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দিয়েছে। অন্যদিকে রপ্তানি বন্ধ থাকায় উৎপাদিত পণ্য নষ্ট হচ্ছে। এতে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন উদ্যোক্তা। এছাড়া আমদানির অভাবে স্থানীয় বাজারে পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে। তাই এখনই আমদানি-রপ্তানির জন্য বিকল্প রাষ্ট্র খুঁজতে হবে। একই সঙ্গে এর প্রভাব মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের তথ্যমতে, গত ৮ বছরে চীন থেকে আমদানি বেড়েছে ৭শ ৪৪ কোটি ডলার। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি বেড়েছে ৪৩ কোটি ডলার। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮৩ কোটি ১২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করা হয়েছে ১ হাজার ৩৮৫ কোটি ১১ লাখ ডলারের পণ্য। এর মধ্যে বস্ত্রখাতের সুতা ও কাপড় আমদানি হয়েছে ৪৩০ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের। আর মেশিনারি ও ইলেট্রিক যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে ৩৬১ কোটি ১৪ লাখ ডলারের। এছাড়া রাসায়নিক পণ্য, প্লাস্টিক ও রাবার জাতীয় পণ্য, যানবাহন ও জাহাজের যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা হয় চীন থেকে। অন্যদিকে পোশাক, পাট, প্লাস্টিক ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্য ও আসবাবপত্রসহ নানা পণ্য রপ্তানি করা হয়। পোশাক তৈরির অধিকাংশ কাঁচামাল আনা হয় চীন থেকে। তাই করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে তৈরি পোশাক খাত মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি সিদ্দীকুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এই ভাইরাসের কারণে চীনে হলিডে (ছুটির দিন) বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশর ওভেন পোশাকের সিংহভাগ ফেব্রিকই আমদানি করা হয় চীন থেকে। দেশটিতে অর্ডার করা পণ্যগুলো কখন এসে পৌঁছবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের একটা ধাক্কা পড়বেই। তিনি বলেন, শুধু আমদানি নয়, চীনে রপ্তানির ক্ষেত্রেও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। চীনের ব্র্যান্ডগুলো এ দেশ থেকে পণ্য নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তারা যেহেতু আসতে পারছেনা না তাই পণ্যও আমদানি করছে না। আবার অর্ডার করা পণ্য নিচ্ছেও না। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি সিদ্দীকুর রহমান এই উদ্যোক্তা বলেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। নির্মানাধীন বড় বড় প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আনা হয় চীন থেকে, সেসব প্রকল্পে বহু চীনা নাগরিক কাজ করছে। এই সংক্রমণের কারণে এসব কাজ ব্যাহত হবে। এতে উন্নয়নকাজও থমকে যাবে। “চীন থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে তখন বিকল্প হিসেবে অন্য দেশ খুঁজতে হবে। কিন্তু ততক্ষণে স্থানীয় বাজারে সংকট সৃষ্টি হবে। এতে পণ্যমূল্য বেড়ে যাবে।” বাংলাদেশে এখন প্রচুর পরিমাণে কুঁচিয়া ও কাঁকড়া উৎপাদন করা হয়। যার পুরোটাই রপ্তানি হয় চীনে। মূলত দেশটিতে চাহিদা বেড়ে যাওযায় প্রায় আট বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে কুঁচিয়া চাষ হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবমতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে কুঁচিয়া উৎপাদিত হয়েছিল ১৭ হাজার টন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply