মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘ ‘ব্যর্থ’
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজে'র সুনর্দিষ্ট আদেশের পরও এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নেইপিদোর ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানায় তারা।
অন্যদিকে, এবার চাপ প্রয়োগের পরিবর্তে উল্টো আদালতের আদেশ নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে চীন ও ভিয়েতনাম।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইনে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আড়াই বছর পার হতে চললেও, একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি দেশটি। এমনকি রাখাইনের পরিবেশের উন্নতিতেও কাজ করছে না মিয়ানমার। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজে'র সুনির্দিষ্ট আদেশ থাকলেও তার তোয়াক্কা করছে না নেইপিদো। মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন, এস্তোনিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত এস্তোনিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধি ভেন জারগেনসন বলেন, আমরা মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজে'র আদেশগুলো মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বাধ্যতামূলক ও বিশ্বাসযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে অচিরেই। সার্বিকভাবে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। সমাধান করতে হবে রাখাইন রাজ্যসহ কাচিন ও শান রাজ্যের দ্বন্দ্বের মূল কারণগুলো। সর্বপরি রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
জানুয়ারির শেষে আইজিসের আদেশের পরও জাতিসংঘ এখনও এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড ও এস্তোনিয়া। বৈঠকে তারা এ প্রসঙ্গ তুললেও স্বভাবজাত ভাবেই মিয়ানমারের মিত্র চীন ও ভিয়েতনাম আদেশের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এদিকে রাখাইনে পরিবেশ উন্নতির আদেশের মধ্যেই রাজ্যটিতে এবার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে নেইপিদো।
Tag: world
No comments: