Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » গাইড বই থেকে সরাসরি প্রশ্ন তুলে দেয়া শিক্ষক চিহ্নিত




প্রশ্নফাঁসের নিয়মিত ঘটনা আড়াল না হতেই এবার সামনে গাইড বই থেকে হুবহু প্রশ্ন তুলে দেয়ার বিতর্ক। এমন ঘটনা ঘটেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি’র বাংলা প্রথম পত্রে। এর সত্যতা পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছেন জড়িত শিক্ষকও। এ তথ্য জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এমন অনৈতিক পরিস্থিতি এড়াতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী গাইড বই থেকে প্রশ্ন আনার ইস্যুতে কথা বলেন। এসময় তিনি জানান: একেবারে কোনো প্রশ্ন কখনও রিপিট হবে না সেটা করা কষ্টসাধ্য, এটা ঠিক। আর গাইড বইগুলোর প্রশ্ন আসে কোথা থেকে? আগের বছরগুলোতে যে প্রশ্ন এসেছে সেগুলোই তারা ছাপায়। আমরা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছি এমনটা যেন আর না হয়। আমরা শনাক্ত করেছি ওই প্রশ্ন কে করেছেন, সেটা আমরা দেখবো। তিনি বলেন: গাইড বই এবং নোট বই ব্যবসায় প্রচুর মুনাফা থাকায় সহজেই এক শ্রেণীর শিক্ষকদের টার্গেট করেন ব্যবসায়ীরা। এর খেসারত দেন শিক্ষার্থীরা। গাইড, নোট ব্যবহার আমরা বন্ধ করতে চাই। সৃজনশীল পদ্ধতিতে এটা আমাদের প্রয়োজন হবার কথা নয়। কোন কোন গাইড বই-নোট বইয়ের প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের এগুলো কিনতে এবং পড়তে প্রভাবিত করেন। অনৈতিক এ অবস্থা দূর করতে আমাদের সকলেরই সচেতনতা দরকার। বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি’র বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয় ৩ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষায় ১শ’র মধ্যে সৃজনশীলে ৭০ নম্বরের মধ্যে ৪০ নম্বরই বাজারের গাইড বই থেকে হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। ১৯৮০ সালে আইন করে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের নোট বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশনা, আমদানি, বিতরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ২০০৮ সালে নির্বাহী এক আদেশে নোট ও গাইড নিষিদ্ধ এবং ২০০৯ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালত নোট ও গাইড বই বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে রায় দেন। কিন্তু বছরের পর বছর আদালতের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে লেকচার, অনুপম, জুপিটারসহ বিভিন্ন নোট ও গাইড বই বাজার বিক্রি করছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী গাইড বই-নোট বই বন্ধে জেলা প্রশাসকদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply