Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » নাসিমের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না রাজনৈতিক সহকর্মীরা




নাসিমের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না রাজনৈতিক সহকর্মীরা

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে হারিয়ে আহাজারি করছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। আজ শনিবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর খবর শোনার পর তা যেন কেউ মেনে নিতে পারছেন না। আওয়ামী লীগের এমন কয়েকজন প্রবীণ নেতার সঙ্গে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের।


 

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সে ছিল জাতীয় নেতা। তার একটা বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিল। সে সংগ্রামী নেতা ছিল। জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেও সংগঠনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিল।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘১/১১-এর সময় তাকে গ্রেপ্তার করলে জেলের মধ্যে তার স্ট্রোক হয়। তারপরও শারীরিক ওই অবস্থা নিয়ে পরে সারা বাংলাদেশে সফর করে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে। সে অনেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিল। ১৪ দলের মুখপাত্র হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। আমি সত্যিই খুব দুঃখিত, মর্মাহত ও বেদনাহত যে নাসিম এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। আমি তার মাগফিরাত কামনা করি।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নাসিমের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দেশের জন্য ক্ষতি। সে একদিকে আওয়ামী লীগের নেতা এবং ১৪ দলের মুখপাত্র ছিল। দেশ গঠনে সব সংগ্রামে, সব কার্যক্রমে সে জড়িত ছিল।’

‘করোনাভাইরাসের সংকটেও সে নিজের হাতে ত্রাণ দেওয়া এবং সব কাজে যুক্ত ছিল বলেই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। আজ তার মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে আমি মনে করি। নাসিমের মৃত্যু মেনে নেওয়া আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করি,’ যোগ করেন আমির হোসেন আমু।

১৯৭৫-এর ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সফলভাবে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর পার করে আবার আন্দোলন-সংগ্রামের মাঠে ফেরে। মাঠের আন্দোলনকে সারা দেশে তুঙ্গে তুলেছিল আলোচিত একটি ছবি। সে আলোচনার মূলে ছিল যে ছবিটি, তার অগ্রভাগে ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। মতিয়া চৌধুরীর সঙ্গে সে সময় ছিলেন শহীদ মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিমও। রাজপথে তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে লাঠিপেটার মুখোমুখি হন তিনি। রাজপথে নাসিমের লুটিয়ে পড়ার সে দৃশ্যই পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের শক্তি জুগিয়েছে তৃণমূলে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে আলোচিত ছিল সে ছবি।

নাসিমের মৃত্যুতে কষ্ট পেয়েছেন মতিয়া চৌধুরী। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের (৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।) বিয়োগান্তক ঘটনায় সে (নাসিম) মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। সে পরিস্থিতি দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করে রাজনীতিতে তার বাবার ধারা এবং দেশের জন্য কাজ করা, সেটা সে প্রমাণ করেছে। সে ছিল অবিচল, বিশ্বস্ত এবং দেশের জন্য কাজ করে গেছে। গণমানুষের জন্য কাজ করে গেছে।’

মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে জেল-জুলুম, নির্যাতন হাসিমুখে বরণ করে গেছে। অনেকেই ঝামেলাহীন জীবনযাপন করেছে, কিন্তু নাসিম সেটা করেনি। নাসিম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে ১৪ দল... আমরা ১৪ দলের সঙ্গে আছি, কিন্তু ১৪ দলের সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সব সময় জড়িত থেকে সবাইকে এক জায়গায় এনে কাজ করানোটা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করেছে। কারণ, এখানে নানা মত নানা পথের লোকজন আছে, যদিও সবাই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, কিন্তু আলাদা পার্টির। সুতরাং সবাইকে এক জায়গায় করার ক্ষেত্রে নাসিমের অবদান ছিল অসীম, যা সে করে গেছে সফলতার সঙ্গে। আজকে তার অকালমৃত্যু হলো। আমি অকালমৃত্যুই বলব, কারণ আমাদের সামনে নাসিমরা যখন চলে যায়, এটাকে আমরা অকালমৃত্যুই বলব। দেশের নিঃস্বার্থ একনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা এবং মাঠের কর্মী ছিল সে, তাকে হারালাম। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply