চাপে পড়ে করোনার আদ্যোপান্ত প্রকাশ করল চীন
করোনাভাইরাস নিয়ে শুরু থেকে চীনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ। এই অভিযোগের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে এক প্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়েছে দেশটি। তবে ক্রমাগত চাপ বাড়তে থাকায় অবশেষে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করল বেইজিং। সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটটিন এমনই তথ্য জানিয়েছে।
চীনে কবে, কোথায় করোনা সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে, এই শ্বেতপত্রে সেই সব তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে।
রোববার (৭ জুন) চীন দাবি করেছে, করোনা চীনে প্রথম ধরা পড়ে ২৭ ডিসেম্বর উহানে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া এবং মানবশরীর থেকে মানবশরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা প্রথম জানতে পারে ১৯ জানুয়ারি।
চীনের দাবি, গত ১৯ জানুয়ারি একজনের শরীর থেকে অন্যের শরীরে সংক্রমণের এই ঘটনার পর থেকে তা রুখতে ব্যবস্থা নেয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়।
তবে এ দিনও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা গোপন করা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে আত্মপক্ষসমর্থনে শ্বেতপত্রে বিশদে ব্যাখ্যাও দিয়েছে চীন।
করোনার প্রকোপ শুরু থেকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা অভিযোগ করেছেন, চীনের কারণে করোনার সৃষ্টি। আর চীন সঠিক তথ্য না দেয়ায় গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
চীনে করোনাভাইরাসের উৎসস্থল হলেও এখন সেদেশ তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গোটা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষের।
No comments: