চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠক
কোভিড-১৯ মহামারির পাশাপাশি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে গণমাধ্যম যোগাযোগ এবং সহযোগিতার বিষয়ে অনলাইন ভিডিওতে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় চীনা দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাউন্সিলর লিউ ঝেনহুয়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত লি বলেন, এই বছরের গোড়ার দিকে যখন চীনে কোভিড -১৯ পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ ছিল, তখন বাংলাদেশ চীনের এক ভালো প্রতিবেশী এবং অংশীদার হিসাবে চীনের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল। এ ছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে বিশেষ পত্রের মাধ্যমে চীনের প্রতি সমবেদনা ও সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন।
বর্তমানে এ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে তাঁর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উদ্দীপনা এবং জনগণের জীবিকা নিশ্চিতকরণে সহায়তার জন্য চীন বেশ কয়েকটি সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেগুলো বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলি যথেষ্ট সক্রিয় ও ব্যাপকভাবে প্রচার করেছে।
চীন ও বাংলাদেশ কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা আরো গভীর করবে, এ দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক বিশ্বাস ও আস্থা আরো গভীর হবে এবং দু'দেশের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিনিময় ও সহযোগিতা আরো গভীর পর্যায়ে নিয়ে যাবে বলেও জানা তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের প্রতি চীনের সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মহামারি চলাকালীন এবং এর বাইরেও চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। কোভিড -১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে এবং অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তার দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বাংলাদেশকে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আশা করা যায় যে চীন ও বাংলাদেশ মহামারি মোকাবিলা এবং গণমাধ্যম নিয়ে প্রকল্প নির্মাণে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারকরণ অব্যাহত রাখবে।
No comments: