বাগেরহাটে জোয়ারে ভেসে গেছে ৫ হাজার ঘেরের চিংড়ি
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের চেয়ে জোয়ারের পানিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাগেরহাটের চিংড়ি চাষীদের। গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে জেলার ৫ হাজার চিংড়ি ঘের। এর ফলে শত কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেক চাষী। ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানাতে না পারলেও চাষীদের সেটি পোষাতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন বলে মনে করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. খালেদ কনক। বাগেরহাট জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, অতিবৃষ্টি ও ভরা মৌসুমে জোয়ারের পানি কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এরফলে জেলার বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল, মোংলা, চিতলমারীসহ এ ৬ উপজেলার প্রায় ৫ হাজার মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। এতে চাষীদের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে এরমধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মোংলা ও মোরেলগঞ্জের চাষীদের। মোংলায় একহাজার ৭৬৫ এবং মোরেলগঞ্জে ২ হাজার ২৬৫ ঘের ডুবেছে জোয়ারের পানিতে। সরকারি হিসেবে আম্পানের আঘাতে বাগেরহাট জেলায় চার হাজার ৬৩৫টি মৎস্য ঘের তলিয়ে চাষীদের দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছিল। এসময়ও চাষীরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি দাবি করেছিলেন। জোয়ারের পানিতে এত বেশি ক্ষতি হবে এটা কখনও চিন্তাও করতে পারেননি চিংড়ি চাষীরা। রামপাল উপজেলার কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আমাদের চার ভাইয়ের প্রায় ৫‘শ ঘেরে ২ কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়। পরে ধার দেনা করে আবারও চাষ শুরু করেছিলাম। গত ১৫ দিন ধরে মাছ বিক্রি শুরু করেছি। এরমধ্যেই জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে ঘেরের কয়েক কোটি টাকার মাছ। এই পানি কমার পরে আসলে কি পরিমাণ মাছ ঘেরে থাকবে আল্লাহ ভাল জানেন। এবার যদি ভাল দামে অনেক মাছ বিক্রি করতে পারতাম তাহলে আম্পানের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব ছিল। সব শেষ হয়ে গেল। মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী এলাকার ঘের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, জোয়ারের পানিতে আমাদের মাঠের ঘেরগুলো সব তলিয়ে গেছে। একাকার হয়ে গেছে সব ঘের। সবাই এখন ঘেরের মাছ রক্ষার ব্যর্থ চেষ্টায় ব্যস্ত। আজ থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার পরে চাষীরা বুঝতে পারবেন কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই পুঁজি হারিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধ করে দিতে পারেন বলে জানান তিনি। বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষী সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, ঘূর্ণি ঝড়ের আম্পানের পরে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলাম। যখনই চাষীরা মাছ বিক্রি শুরু করল তখন জোয়ারের পানিতে ঘেরগুলো তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে আমাদের চাষীদের শত কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. খালেদ কনক বলেন, জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের ৬টি উপজেলার প্রায় ৫ হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাষীদের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়টি নিরুপণ করতে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছি আমরা। কাজ শেষে আমরা জানাতে পারব আসলে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তবে চাষীদের ক্ষতি পোষাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান এ মৎস কর্মকর্তা। বাগেরহাট জেলায় প্রায় ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে সাড়ে ৭৮ হাজার বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘেরে চিংড়ি চাষ হয়েছে। গত অর্থ বছরে সাড়ে ১৬ হাজার মেট্রিক টন বাগদা ও সাড়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন গলদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছিল বাগেরহাট জেলায়।Slider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: