সুশান্তকে মারতে তাঁর পোষ্য কুকুরের বেল্ট ব্যবহার করা হয়েছে, বিস্ফোরক প্রাক্তন কর্মী
সুশান্তকে মারতে তাঁর পোষ্য কুকুরের বেল্ট ব্যবহার করা হয়েছে, বিস্ফোরক প্রাক্তন কর্মী
মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট অঙ্কিত আচার্য অভিনেতার মৃত্যুকে ঘিরে কতগুলি প্রশ্ন তুলেছেন। সুশান্তের মৃত্যুর পরেই তাঁর দেহের ছবিগুলি মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। দেখা গিয়েছিল সুশান্তের গলায় রয়েছে গভীর একটি দাগ। অঙ্কিত দাবি করেছেন, পোশাক দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে সেই দাগ তৈরি হয়নি। বরং এই দাগ দেখে মনে হয় সুশান্তের পোষ্য ফাজের গলার বেল্ট ব্যবহার করা হয়েছে। সেই বেল্ট থেকেই এরকম দাগ তৈরি হতে পারে।
AM
সুশান্তের বাড়িতে যে কর্মীরা ছিলেন তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অঙ্কিত। তিনি বলছেন কেন সুশান্ত যখন ঘরে ছিলেন তখন ঠিকমতো খোঁজ নেননি তারা? সুশান্ত ফোনের উত্তর দিচ্ছেন না দেখে কেন তারা দরজা ভাঙলেন?
রিপাবলিক টিভির কাছে অঙ্কিত বলছেন, “স্যর আত্মহত্যা করতে পারেন না। তিনি মানুষকে আত্মহত্যা থেকে থামিয়েছেন। কষ্ট করে জীবনে এগিয়ে যেতে বলতেন তিনি। তিনি অন্যদের বলতেন, ‘এগুলো করে কী লাভ আছে? শুধুমাত্র বাবা মা-রা কষ্ট পান।’ উনি এভাবে আমাদের বোঝাতেন। তিনি কেন আত্মঘাতী হবেন?”
অঙ্কিত মনে করছেন আত্মঘাতী হননি সুশান্ত। তাঁকে খুন করা হয়েছে। অঙ্কিত বলছেন, “আমি ওই ছবিগুলি থেকে নিজের মতো করে জিনিসটি বোঝার চেষ্টা করেছি। উনি যদি নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতেন তাহলে দাগটি ইংরেজির ‘U’ আকৃতির হতো। আর কেউ যদি পিছন থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন ঘরে তাহলে ‘O’ আকৃতির দাগ তৈরি হয়।”
অঙ্কিত আরো বলছেন, “গলার দাগটি দেখেই বোঝা যায় ফাজের বেল্ট ব্যবহার করা হয়েছে। আমি ওকে নিয়ে বেড়াতে যেতাম। ওই বেল্ট কতবার পরিষ্কার করেছি। এমনকি বেল্টের বাকল- এর দাগটি আছে গলার এক সাইডে। বলা হচ্ছে একটি সবুজ রঙের জামা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়েছিলেন সুশান্ত। কিন্তু গলার যে দাগ তার সঙ্গে সেই জামার কোনো মিল নেই।”
অঙ্কিত আরও জানিয়েছেন যে, তিনি যখন কাজ করতেন তখন প্রতিনিয়ত সুশান্তের খোঁজখবর রাখতেন। তিনি কী করছেন বা তাঁর কোনও কিছু দরকার কিনা সেসব বিষয়ে নজর রাখতেন। আর তাই তিনি বলছেন কেন ১৪ জুন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত সুশান্তের ঘরে কেউ গিয়ে খোঁজ নিলো না। কেন দরজা ভাঙতে হলো? আর তখন ফাজ কোথায় ছিল?
Tag: Entertainment
No comments: