করোনা রিপোর্ট নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান আরিফুল, তার স্ত্রী ডা. সাবরিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে জেকেজির প্রতারণার সার্বিক চিত্র উঠে এসেছে।
গত ২৩ জুন প্রতারণার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তাদের তথ্যে ২৪ জুন পুলিশের জালে ধরা পড়ে জেকেজির মাদার কোম্পানি ওভাল গ্রুপের এমডি আরিফুল হক চৌধুরী। জব্দ হয় করোনা রিপোর্ট নিয়ে প্রতারণার শত শত নথি।
বেশ কিছুদিন অধরা থাকলেও ১২ জুলাই গ্রেপ্তার হন ডা. সাবরিনা আরিফও। মামলার তদন্তভার যায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ, জব্দ করা ল্যাপটপ ও অন্যান্য নথিপত্র বিশ্লেষণে উঠে আসে প্রতারণার ভয়াবহ চিত্র।
তদন্তে ১৯৮৫টি করোনার ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সনদ পাওয়া গেছে। উঠে এসেছে স্বাস্থ্য অদিদপ্তরের দুর্বলতাও।
গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বলছে, সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জেকেজির প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেই অনুযায়ী দেয়া হয়েছে অভিযোগপত্র।
পুলিশ বলছে, জেকেজির এই প্রতারণায় আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. সাবরিনার সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিলেই শুরু হবে মামলার বিচার।
No comments: