মেসি-রোনালদো-সুয়ারেজ নন, নন লেভানডোভস্কি-নেইমার-এমবাপে, নামটা চিরো ইম্মোবিল। যিনি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু’র দৌড়ে বাঘা-বাঘাদের এক দশকের রাজত্বে হানা দিয়েছেন। সঙ্গে সিরি আ’তে গঞ্জালো হিগুয়েনের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছুঁয়েছেন, জিতেছেন সিরি আ’র গোল্ডেন বুট।
লিওনেল মেসি ৬ বার, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ২ বার, লুইস সুয়ারেজ একবার এবং রোনালদো-সুয়ারেজ একবার যৌথভাবে, গত দশ বছরে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু’র জয়ীদের নাম। চলতি মৌসুমে সেই ধারা ভেঙে ইউরোপের লিগগুলোতে সেরা গোলদাতার পুরস্কারটি শোকেসে নিয়েছেন ইতালিয়ান লিগ সিরি আ’র ক্লাব লাৎসি স্ট্রাইকার ইম্মোবিল।
মেসি মৌসুমের শুরুতে চোটে ছিলেন, করোনা বিরতি কাটিয়ে সেভাবে গোল পাননি, বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন মহাতারকা আবার গোল করার চেয়ে করানোয় মন দিয়েছেন বেশি। তিনি ২৫ গোল নিয়ে লিগ শেষ করেছেন, আর সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ২১ গোল।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু’র দৌড়ে এবার মেসি হয়েছেন পঞ্চম। ২০১৯-২০ মৌসুমে শীর্ষের ইম্মোবিলের গোল সেখানে ৩৬টি। দুইয়ে জার্মান বুন্দেসলিগার রবার্ট লেভানডোভস্কি ৩৪ গোল নিয়ে। আরেক মহাতারকা সিরি আ জায়ান্ট জুভেন্টাসের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো শেষ করেছেন ৩১ গোল নিয়ে। মেসির আগে চারে লেইপজিগের টিমো ওয়ের্নারের গোল ২৮টি।
৩০ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের প্রথম ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জেতা ইম্মোবিল রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন হিগুয়েনের। ২০১৫-১৬ মৌসুমে নাপোলির হয়ে আর্জেন্টাইন হিগুয়েন ৩৬ গোল করেছিলেন এক মৌসুমে, ইতালিয়ান লিগে এক মৌসুমে সেটাই সর্বোচ্চ, গোলের সেই রেকর্ডে এখন ভাগীদার ইম্মোবিলও।
ইউরোপিয়ানের সঙ্গে সিরি আ’তে তৃতীয়বার গোল্ডেন বুট জিতেছেন ইম্মোবিল। ২০১৩-১৪ আসরে ২২ গোল ও ২০১৭-১৮ মৌসুমে ২৯ গোল করে ইন্টারের মাউরো ইকার্দির সঙ্গে যৌথ হয়ে পুরস্কারটি জিতেছিলেন। এবার আবার একাই হাতে তুললেন। লিগে তার দলের খেলা শেষ হলেও কয়েকটি দলের এক রাউন্ড করে বাকি। যদিও তাদের কেউ গোলে ইম্মোবিলকে ছোঁয়ার ধারেকাছেও নেই।
<html>
No comments: