বিশ্বের ১০ বিপজ্জনক রানওয়ে
বিপজ্জনক রানওয়েতে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা নতুন নয় ৷ বিশ্বের বহু দেশেই এমন ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনারই নজির রয়েছে৷ আসুন জেনে নেই বিশ্বের বিপজনক দশটি রানওয়ের কথা।
ফ্রান্সের কাউর্চোভেল এয়ারপোর্ট: ফ্রান্সের এই বিমানবন্দরে রানওয়ের দৈর্ঘ্য মাত্র ৫০০ মিটার। আল্পস পর্বতের উপর স্কি রিসর্টের জন্যই এই জায়গা বিখ্যাত ৷ এই বিমানবন্দরও অধিকাংশ সময় স্কি পর্যটকদের জন্যই ব্যবহৃত হয় ৷ প্রচণ্ড কুয়াশা এবং বরফের মধ্যে এই রানওয়েতে ল্যান্ড করাটা অত্যন্ত কঠিন কাজ পাইলটদের জন্য ৷
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন এয়ারপোর্ট: নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের বিমানবন্দরের রানওয়েও অত্যন্ত ছোট ৷ দৈর্ঘ্য মাত্র ২০৮১ মিটার বা ৬৮২৭ ফুট ৷ এখানে শুধুমাত্র ছোট প্লেনগুলিকেই ল্যান্ড করার অনুমতি দেয়া হয় ৷
নিউজিল্যান্ডের গিসবোর্ন এয়ারপোর্ট: নিউজিল্যান্ডের এই বিমানবন্দরের রানওয়ের উপর দিয়ে আবার রেলের ট্র্যাকও রয়েছে ৷ অর্থাৎ বিমান ওঠা-নামার পাশাপাশি ট্রেনও যায় এখান থেকে ৷
জাপানের কানসাই আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট: জাপানের একটি ছোট্ট দ্বীপের মধ্যে তৈরি হয়েছে এই বিমানবন্দর ৷ যখন তখন ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় বা ঝড় লেগেই থাকে ৷ এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল তাই অত্যন্ত বিপজ্জনক।
সেন্ট রার্থেলেমির গুস্তাফ-৩ এয়ারপোর্ট: এত ছোট রানওয়েতে শুধুমাত্র ২০ জন যাত্রীর প্রাইভেট বিমানই নামতে পারে৷
সেন্ট মার্টেনের প্রিন্স জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট: ছবির মতো সুন্দর এই দ্বীপের রানওয়ের ছবি দেখলেই বোঝা সম্ভব যে কতটা কঠিন এখানে বিমান ল্যান্ড করাটা।
গ্রিনল্যান্ডের নাসারসুক এয়ারপোর্ট: গ্রিনল্যান্ডের বিমানবন্দর ৷ রানওয়ে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা আন্দাজ করাটা হয়তো খুব একাট কঠিন কাজ নয় ৷ পাহাড়ের গা বেয়ে অধিকাংশ সময় সাংঘাতিক ঝড় অতিক্রম করে বিমান ওঠানামা করতে হয় পাইলটদের ৷
নেপালের তেনজিং হিলারি এয়ারপোর্ট: নেপালের তেনজিং-হিলারি বিমানবন্দর ৷ এভারেস্টের অভিযাত্রীরা বেস হিসেবে এই বিমানবন্দরকে ব্যবহার করেন ৷ বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রানওয়েগুলির মধ্যে অন্যতম এটি ৷ দৈর্ঘ্য মাত্র ১৫০০ ফুট ৷
ডাচ ক্যারিবিয়ান আইসল্যান্ড অফ সাবার জুয়ানচো-ই-ইরাউসকুইন এয়ারপোর্ট: যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এই বিমানবন্দরের রানওয়ে ৷ মাত্র ৪০০ মিটার লম্বা রানওয়েতে বিমান ওঠানামা করাটা সাংঘাতিক চ্যালেঞ্জের কাজ পাইলটদের জন্য ৷
No comments: