খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি বিবেচনা করা হবে : আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন সরকার বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সরকার খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য দণ্ডাদেশ স্থগিত করে মুক্তি দেয়। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এই মেয়াদ শেষ হবে। মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদন হাতে পাওয়ার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে, মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কথা বিবেচনা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া জামিনে নেই। কোনো আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়নি। গত মার্চ মাসে তাঁর পরিবার থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি দরখাস্ত করা হয়েছিল যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কোনো নির্বাহী আদেশে তাঁকে যেন জেলখানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক চিন্তা করে আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে ছিলেন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১১ ধারায় তাঁর (খালেদা) দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাঁকে ছয় মাসের মুক্তি দেওয়ার জন্য। গত মার্চ মাসের ২৫ তারিখ সেই আদেশে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন তিনি একটি দরখাস্ত পেয়েছেন। আগামী সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ ছয় মাস শেষ হয়ে যাবে। তারা সেটার এক্সটেনশন চেয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই দরখাস্তের কপি আমার কাছে পাঠিয়েছেন। তবে সেটা এখনো আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। পৌঁছালে আমরা বিবেচনা করব। দরখাস্তে কী লেখা হয়েছে সেটি এখনো আমি জানি না। সেক্ষেত্রে আমি কী বিবেচনা করব দরখাস্ত না পড়ে কথা বলাটা আমার ঠিক হবে না।’
গত ২৫ মার্চ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। মুক্তির পর থেকেই গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আছেন তিনি, সেখানেই চলছে তাঁর চিকিৎসা। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে, এমনটা জানিয়ে তাঁর ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার গত ২৫ আগস্ট সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে ১১ মাস তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সর্ম্পকিত দুটি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে খালেদা জিয়া কারাভোগ করছিলেন।
No comments: