Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ




বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী ও সেবা দিবস আজ। ১৯৮৯ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। সমিতি এ দিনটিকে ‘ডায়াবেটিস সেবা দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণজনিত মহামারী বিবেচনা করে এবারের কর্মসূচি কিছুটা ভিন্নভাবে বিন্যস্ত করে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এছাড়াও শনিবার থেকে দু’দিনব্যাপী ‘বাডাস ভার্চুয়াল ডায়াবেটিস কনফারেন্স’ শুরু হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ) বর্তমান সভাপতি প্রফেসর অ্যান্ড্রু বলটন ও আইডিএফের সভাপতি (নির্বাচিত) অধ্যাপক আখতার হোসেন ছাড়াও বক্তব্য রাখবেন অধ্যাপক সমর ব্যানার্জি, অধ্যাপক এমএ বাসিত, অধ্যাপক তৃষা ডানিং, ডা. ডগলাস ভিলারয়েল, ডা. দেবাশিস বসু প্রমুখ। ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৯৮৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ডায়াবেটিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে বারডেম হাসপাতাল নামে পরিচিত। বাংলাদেশে ডায়াবেটিকস রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ও এর প্রতিকারে তার অবদান অনস্বীকার্য। মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্কুল জীবনের নাম ছিল শেখ আবু মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর ইউনিয়নের খাঁড়েরা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা শেখ মৌলভী মুহম্মদ কিসমতুল্লাহ এবং মায়ের নাম আজিম-উন-নিসা বিবি। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে ডা. ইব্রাহিম ছিলেন সবার বড়। তার গ্রামের মধ্য বাংলা স্কুলে লেখাপড়া শুরু করার পর তিনি ‘সালার এডওয়ার্ড ইংলিশ হাইস্কুলে’ ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করেন। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। তিনি (১৯৩৩-৩৪) কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৩৮ সনে ডাক্তারী পরীক্ষায় পাশ করেন। ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৯৩৮ সনে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারী পাশ করার পর তার চিকিৎসা ও কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মজীবনের প্রথম দিকেই কলকাতা মেডিকেল কলেজে প্রফেসর অব মেডিসিনের ওয়ার্ডে হাউস ফিজিশিয়ান হিসাবে কাজ করার সুযোগ পান। পরবর্তীতে ১৯৩৮-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে তিনি ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার ও প্র্যাকটিক্যাল ফার্মেসী বিভাগের সিনিয়র ডেমনসট্রেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজে রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান হিসাবে কাজ করেন। দেশ বিভাগের পর অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন পদে যোগদান করেন। একই সঙ্গে তিনি জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিনের শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৪৮ সালে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম যুক্তরাজ্য থেকে এম,আর, সি,পি, ডিগ্রী অর্জন করেন। তার পরের বছর আমেরিকান কলেজ অব চেস্ট ফিজিশিয়ানস থেকে এফ.সি.সি.পি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫০ সালে দেশে ফিরে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা মেডিকেল কলেজের এডিশনাল ফিজিশিয়ান হিসাবে যোগদান করেন। তারপর পর্যায়ক্রমে তিনি ক্লিনিক্যাল মেডিসিন ও মেডিসিনের প্রফেসর নিযুক্ত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকাকালীন সময়ে ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী কতিপয় বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবীদের সহযোগিতায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় পাকিস্তান ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি আমেরিকান কলেজ অব চেষ্ট ফিজিশিয়ানস, পাকিস্তান চ্যাপ্টারের গভর্ণরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস থেকে এফ.সি.পি.এস ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসেনের প্রফেসর ও অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন। ডা. ইব্রাহিম মন্ত্রীর পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৩ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাকে সিতারা-ই-খিদমত উপাধীতে ভূষিত করেন। চিকিৎসাবিদ্যায় অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে দেশের ‘সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার’ হিসাবে পরিচিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয় তাকে। ১৯৮৪ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক হন এবং দেশে তিনিই প্রথম চিকিৎসাবিদ যিনি এই মর্যাদা পান। ১৯৮৫ সালে বাংলা একাডেমীর ফেলো নির্বাচিত হন এবং একই বৎসর চিকিৎসা ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য মাহবুব আলী খান পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে জর্দানে অবস্থিত ইসলামিক একাডেমী অব সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাকে প্রতিষ্ঠাতা ফেলো নির্বাচিত করা হয়। অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৯৮৬ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য কুমিল্লা ফাউন্ডেশনের স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ স্মারক স্বর্ণপদক, ১৯৮৯ সালে ইসলামীক ফাউন্ডেশনের স্বর্ণপদক এবং ১৯৯১ সালে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মৌলানা আকরাম খাঁন স্মারক স্বর্ণপদক লাভ করেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply